স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর লালবাগ বাসিন্দা আনোয়ার মজুমদার সকাল সাতটায় স্থানীয় মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ে এসেই কোরবানির পশু গরু জবাই করেন। দেড় লাখ টাকায় কেনা গরুটি কাটাকাটির জন্য আগে থেকেই পরিচিত কসাই ঠিক করে রেখেছিলেন তিনি।

সকাল ১০টার মধ্যেই কসাই গরু বানানোর কাজ শেষ করেন। এসময় আনোয়ার মজুমদার গরুর চামড়া বিক্রি করার জন্য চামড়ার ক্রেতাদের খোঁজ করেন। তাদের কাউকে না পেয়ে মাদরাসায় দান করার জন্য মাদরাসা শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে বলেন। তার ছেলেরা এক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি করেও চামড়ার ব্যাপারী কিংবা মাদরাসার কাউকে খুঁজে পাননি।

আনোয়ার মজুমদার বলেন, ‘একসময় গরু জবাইয়ের আগে থেকে চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কেনার জন্য এসে ধরনা দিত। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা এসে চামড়া দান করার জন্য অনুরোধ জানাতেন। কিন্তু আজ এক ঘণ্টার বেশি সময় হয়ে গেছে, চামড়ার ব্যাপারী মাদাসার ছাত্ররা কেউ আসল না।’

সরেজমিন দেখা গেছে, বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় কোরবানির পশু জবাইয়ের পর বাসার সামনে রাস্তায় পড়ে আছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অন্যান্য বছরের মতো চামড়ার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কেউ তা কিনতে আসছেন না। কেউ কেউ এটাকে চামড়া ব্যবসায়ীদের কম দামে কেনার কৌশল বলে মনে করছেন।

এ বছর রাজধানীর জন্য লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকা, বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২১, ২০২১)