স্টাফ রিপোর্টার : ঈদের পরেরদিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির সরবরাহ বেশ কম দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ক্রেতাও কম। ক্রেতা কম থাকলেও কিছু সবজির দাম বেড়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ সবজির দোকান বন্ধ রয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী দোকান খুলে সবজি বিক্রি করছেন।

মালিবাগ হাজীপাড়া বৌবাজারে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক সবজির দোকান বসে। সকাল ১০টার দিকে এই বাজারটিতে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র চারটি দোকান খুলেছে।

বাজারটিতে সবজি বিক্রি করা সবুজ বলেন, কোরবানির কারণে এখন সবার বাসায় মাংস। সবজির চাহিদা কম। তারপরও কিছু মানুষ আজ সবজি কিনবে, তাদের জন্য অল্প সবজি নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, আড়তেও আজ সবজি কম এসেছে। দাম একটু বেশি। তাই আমরাও একটু বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে পেঁপে, টমেটো ও গাজরের দাম বেশি বেড়েছে।

এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আর ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম বেড়ে ৫০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ঈদের আগে বেগুন, ঝিঙে, করলা, বরবটি, চিচিঙ্গা, পটল, ঢেঁড়স, কাঁচকলা, কচুরমুখির দাম কিছুটা কমলেও আবার বেড়ে গেছে।

বাজার ও মানভেদে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা ঈদের আগের দিন ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা ঈদের আগের দিন ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

ঈদের আগের দিন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এছাড়া ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এ সবজিগুলো ঈদের আগের দিন ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়।

মালিবাগ হাজীপাড়া বৌবাজারের মতো যাত্রাবাড়ীতেও অল্পকিছু সবজির দোকান খোলা থাকতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে ক্রেতা ও সবজির পরিমাণ কম দেখা যায়।

যাত্রাবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ঈদে করতে অনেক ব্যবসায়ী গ্রামে গিয়েছেন। যারা ঢাকায় আছেন তাদের অনেকেই আজ বিশ্রাম নিচ্ছেন। আগামীকাল দোকান খোলার পরিমাণ বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা যেমন কম দোকান খুলেছি, তেমনি আড়তেও আজ সবজি অনেক কম এসেছে। আড়তে সবজি কম আসার কারণে দাম একটু বেশি। আড়তে যে হারে দাম বেড়েছে, খুচরায় তার থেকে কম দাম বেড়েছে। তবে আগামীকাল সবজির দাম আরও একটু বাড়তে পারে।

রামপুরা বাজারে গিয়েও অল্প কয়েকটি দোকান খোলা দেখা যায়। বাজারটির সবজির বিক্রেতা ঝন্টু বলেন, কাল মাংস খাওয়ার কারণে আজ অনেকেই সবজি খেতে চাইবেন। তাদের কথা চিন্তা করেই সবজি নিয়ে এসেছি। বিক্রি খুবই কম হচ্ছে। হয় তো বিকেলে বিক্রি একটু বাড়তে পারে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২২, ২০২১)