স্টাফ রিপোর্টার : ঈদের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে এই কোরবানি দেয়া হচ্ছে।

বুধবার ঈদের নামাজ আদায় করেই বেশিরভাগ মুসল্লি কোরবানি দিলেও, বিভিন্ন কারণে অনেকে গতকাল কোরবানি দিতে পারেননি। কোরবানির উদ্দেশ্যে পশু কিনে রাখে এসব মুসল্লিরা আজ কোরবানি দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ, বাসাবোসহ বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে কোরবানি দেয়ার দৃশ্য দেখা যায়।

আজ কোরবানি দেয়ার কারণ হিসেবে কেউ কেউ জানিয়েছেন, ঈদের দিন কোরবানি দিলে ঝামেলা বেশি হয়। মাংস কাটার জন্য কসাই খুঁজে পাওয়া যায় না। এ কারণে ঝামেলা মুক্তভাবে কোরবানি দিতে আজ কোরবানি দেয়া হচ্ছে।

পূর্ব রামপুরায় একটি স্থানে পাশাপাশি তিনটি গরু কোরবানি দিতে দেখা যায়। সেখান থেকে সাইফুল্লাহ নামের একজন বলেন, আজ কোরবানি দিতে কোনো বাধা নেই। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আজ এবং আগামীকালও কোরবানি দেয়া যাবে।

তিনি বলেন, গতকাল কসাই খুঁজে পাইনি। তাছাড়া এদের দিন কোরবানি দিলে নানা ঝামেলা হয়। সবকিছু মিলে আজ কোরবানি দিচ্ছি। কোনো ঝামেলা নেই, কসাই পেতে কোনো সমস্যা নেই।

তিনি আরও বলেন, কোরবানি দেয়া হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। কোরবানির নিয়ত করে আগেই গরু কিনে এনেছি। এখন আল্লাহর নামে কোরবানি দিলাম। কবুল করার মালিক আল্লাহ।

রামপুরায় আজ কোরবানি দেয়া আরেক মুসল্লি শামসুল খান বলেন, গতকাল বিকেলে আমার ছোট ভাই কোরবানি দিয়েছে। ওখানে আমরা সবাই ছিলাম। ভেবেছিলাম ওদেরটা শেষ করে আমাদের গরুটা কোরবানি দেব। কিন্তু সময় কুলিয়ে উঠতে পারিনি। তাই আজ সকালে গরু কোরবানি দিলাম।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় ঈদের দিন কোরবানি দেই। এবার ওই ঈদের পরের দিন কোরবানি দিচ্ছি। গতকালের তুলনায় আজ ঝামেলা কমে মনে হচ্ছে। এখন ভালোভাবে বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার চেষ্টা করছি।

খিলগাঁওয়ে গরু কোরবানি দেয়া মিজানুর রহমান বলেন, আমরা তিনজন মিলে কোরবানির জন্য গরুটি ভাগে কিনেছিলাম। ইচ্ছা ছিল গতকাল কোরবানি দেব। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মাংস কাটার কসাই পাইনি। ছাগল হলে নিজেরাই কেটেকুটে নিতে পারতাম। গরু তো আর নিজেরা কাটা যায় না। তাই ঈদের পরের দিন ওই কোরবানি দিতে হলো। অবশ্য এতে কোনো সমস্যা নেই। আমার কসাই পেতেও কোনো সমস্যা হয়নি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২২, ২০২১)