রাজন্য রুহানি, জামালপুর : ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে শহর ও পাড়া-মহল্লায় অপ্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। চলছে আড্ডা। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি চেকপোস্টে জরুরি প্রয়োজনের কথা বলে শহরে ঢুকছে লোকজন। অনেক সড়কে চলছে হোন্ডা, অটোরিকশা, সিএনজিসহ নানা যানবাহন। সেই সঙ্গে বাড়ছে পথচারীর সংখ্যাও। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। পাড়া-মহল্লায় খোলা রয়েছে কিছু কিছু দোকান ও চা স্টল। শহরের মার্কেটগুলোতে চলছে চোর-পুলিশ খেলা। সার্টার বন্ধ করে ভেতরে চলছে কেনাকাটা। বাইরে তালা ঝুলানো, দোকানের সামনে সতর্ক পাহারায় কর্মচারী। কেনাকাটা শেষ হলে দোকনের ভেতর থেকে সংকেত আসে, তখন বাইরে থাকা কর্মচারীরা তালা খুলে দেয়। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর লোক এলে সটকে পড়ে তারা।

শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জামালপুর শহরের স্টেশন রোড, গেইটপাড়, তমালতলা, সকাল বাজার, পাথালিয়া, কলেজ রোড, ইকবালপুর, মির্জা আজম চত্বর, পাঁচরাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

শহরের প্রবেশ পথ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃখলাবাহিনী। কিছুক্ষণ পরপর বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে পুলিশ। সারা জেলায় চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার ইউএনও লিটুস লরেন্স চিরান বলেন, আমরা জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে লকডাউন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালাচ্ছি। যেহেতু ঈদের পরপরই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ, সে কারণেই হয়তো লোকজনের ঈদের আমেজ এখনো কাটেনি। তাই তারা নানা প্রয়োজনের কথা বলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। এজন্যই কোথাও কোথাও হয়তো বিধিনিষেধে ব্যত্যয় ঘটছে।

তিনি আরও বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী র‌্যাব পুলিশ বিজিবি আনসার বাহিনীর সদস্যরা। ইউনিয়ন পর্যায়েও টহল জোরদার রয়েছে। সব জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।

সেই সঙ্গে তিনি জনগণকে স্বপ্রণোদিত হয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

(আরআর/এসপি/জুলাই ২৪, ২০২১)