বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের কাটা খাল এলাকায় আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

আগামী ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থিরা। আর এই কারনে নিজেদের আধিপত্যকে টিকিয়ে রাখতে ঘটছে ছোট বড় মারামারি, হামলা, সংঘর্ষের মতো ঘটনা।

শুক্রবার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনার গ্রুপ ও গত নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থি মান্নান মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ঘের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৬৫ জন। এদের মধ্যে গতরাতেই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চেয়ারম্যান গ্রুপের কৃষক শহীদ ফকির (৪৭) ।

শহীদ ফকিরের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছলেই রাত থেকে দফাদফায় কাটা খাল ও ফকির পাড়ার অর্ধশত ঘরবাড়ি ও দোকান পাটে হামলা ও লুটপাট চালায় নিহত পক্ষের সমর্থকরা। বর্তমানে পুরো এলাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী জানান, হামলাকারিরা আমাদের বাড়ী গরু, পাট, পিয়াজ এমনকি ফ্রিজও লুটে নিয়ে গেছে।

মুঠোফোনে পরমেশ্বর্দী ইউ পি চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনা মুকুল বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসাবে সকলপর অভিভাবক। আমার ব্যক্তিগত কোন গ্রুপ নেই। আওয়ামিলীগ এর মনোনয়ন পেয়ে জনগণের সমর্থনে চেয়ারম্যান হয়েছি। তাদের সুখ-দুঃখ দেখা আমার দায়িত্ব। আমি দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করছি।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল আলম বলেন ‘এলাকার নতুন করে অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা তৎপর রয়েছি, মারামারির ঘটনায় কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ না দিলেও প্রকৃত অপরাধিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’

(কেএফ/এসপি/জুলাই ২৪, ২০২১)