রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহাট স্পারবাঁধটি আবারো ধ্বসে তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। শুক্রবার বিকেলে নদী গর্ভে একাংশ নিমিষেই ধ্বসে যায়। ধ্বসে যাওয়া স্পারবাঁধটিতে গত দুইমাস ধরে কয়েক হাজার জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলানো হলেও স্থায়ী ভাবে সংষ্কার না হওয়ায় স্পারবাধের বাম পাশে স্রোতের আঘাত হানার ফলে মহুর্তে ধ্বসে যায় স্পারের অংশটুকু। 

কুড়িগ্রাম জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) স্পারবাধটি রক্ষা করতে স্থানীয় জনসাধারণ ও পূর্বে থেকে স্পারের কাজ করা শ্রমিকদের দিয়ে শুক্রবার ভয়েলগেট মেশিন দিয়ে প্রায় ৪০টি জিও টিউবের ব্যাগে বালু ভর্তি করে ধ্বসে যাওয়া অংশে ফেলে পূরণ করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার মন্ডল বাবু ক্ষোভে বলেন, সরকার কোটি টাকা ব্যয়ে বুড়িরহাট স্পারবাঁধটি নির্মাণ করেছে অথচ প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলে স্পারবাঁধের বিভিন্ন অংশ নদীতে ধ্বসে যাচ্ছে। ধ্বসে যাওয়া অংশ পুনঃসংস্কার করার কয়েক দিনের মধ্যে আবার ধ্বসে যাচ্ছে। এতে সরকারে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আমরা সরকারের কাছে স্থায়ীভাবে নদী শাসনের জোর দাবী জানাই।

ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ কর্মকার বলেন, প্রতিনিয়তই ভাঙ্গছে তিস্তা নদী। সরকার নদী শাসনের জন্য মেগা প্রকল্প চালু করার কথা থাকলেও চালু না হওয়ায় নদী ভাঙ্গন ঠেকানো যাচ্ছে না। কবে নাগাদ এ প্রকল্প চালু হবে সেটাও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলতে পারে না। কোথাও ভাঙ্গন দেখা দিলেই দায়সারা সংষ্কার করেই যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এ ব্যাপারে রোববার(২৫জুলাই) কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মাহমুদ হাসান বলেন, বুড়িরহাট স্পারটি ধ্বসে যাওয়ার খবর পেয়ে একটানা কাজ করে ধ্বসে যাওয়া অংশ টুকু জিও টিউবের বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামত করতে সক্ষম হয়েছি। তিস্তার অন্যান্য জায়গায় ভাঙ্গন ও মেরামত সঙ্গে বলেন, তিস্তায় মেগা প্রকল্প নিয়েছে সরকার তাই স্থায়ীভাবে কাজ করা হচ্ছে না। এমারজেন্সিতে যেটুকু কাজ করছি সেটার বরাদ্দ অপ্রতুল। সরকার বরাদ্দ বাড়ালে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে।

(পিএস/এসপি/জুলাই ২৫, ২০২১)