নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশায় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিনগত রাতে উপজেলার নিতপুর শোভাপুর সাকোদিঘি গ্রামে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ শনিবার দিনগত রাতে লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে।

জানা গেছে, ১২বছর পূর্বে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার জীবনপুর গ্রামের আফাজদ্দিনের ছেলে সমির(৪৮) পোরশা উপজেলার নিতপুর মাস্টার পাড়ার সাদেম আলীর মেয়ে আছিরনকে বিয়ে করে। তাদের পরিবারে তিনটি সন্তান রয়েছে।

পরবর্তীতে তারা নিতপুর শোভাপুর সাকোদিঘি গ্রামে নতুন বাড়ি তৈরী করে সেখানে বসবাস করতে শুরু করে। এরই মধ্যে আছিরন গত ২২দিন পূর্বে মহাদেবপুর উপজেলার জনৈক জিয়া নামে এক ব্যক্তির সাথে পরকিয়ার টানে পালিয়ে যায়। ফলে সমির তার শিশু ছেলে-মেয়েদের নিয়ে একাই ওই বাড়িতে থাকতো। হঠাৎ করে শুক্রবার রাতে একজন মহিলা সহ ২/৩ ব্যক্তি সমিরের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে বলিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলে চলে যায়।

এসময় তার এক ছেলে ও এক মেয়ে ঘুমিয়ে ছিল এবং বড় ছেলে সিফাত(৯) জেগে ছিল বলে জানাগেছ। সে সময় সিফাতকে ভয়ভিতি দেখানোর কারনে সে কোন রকম কথা বলেননি বলে জানায় সিফাত। সমিরকে মেরে চলে যাওয়ার পরে সিফাত গ্রামের লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা থানায় খবর দেয় এবং থানা পুলিশ আছিরন ও তার বোন সালেহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল আজম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আছিরনকে জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বামীকে তারা তিনজন মিলে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। তদন্তের স্বার্থে অপর ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছেনা বলেও তিনি জানান। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা আফাজ উদ্দিন বাদি হয়ে রবিবার পোরশা থানায় একটি এজাহার করেছেন বলে তিনি জানান।

(বিএস/এসপি/জুলাই ২৫, ২০২১)