আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ৩য় দিনেও দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসাবে খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে জরুরি পণ্যসেবা, রোগী ও লাশবাহী গাড়ি পার করার জন্য ফেরি রাখা হলেও সুযোগ বুঝে যাত্রী ও ছোট গাড়ি পার হয়ে যাচ্ছে। মানবিক কারণে তাদের ফেরি থেকে নামিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে দেখা গেছে।

রবিবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে ঘাট এলাকায় ঢাকামুখি যাত্রীদের চাপ দেখা যায়। এ সকল যাত্রীরা অটোরিক্সা, থ্রীহুইলার মাইক্রোবাস সহ বিভিন্ন যানবাহনে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌছাচ্ছেন।

অনেক শ্রমজীবি মানুষকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে পায়ে হেটে ফেরি ঘাটে পৌছে। চলাচলকারী ফেরিগুলো ঘাটে আসা যানবাহন এবং বিপাকে পড়ে আসা মানুষ নিয়েই ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ আছে।

এছাড়াও দেখা যায়, লাশ ও রুগী বাহী এম্বুল্যান্স এ করে ও ঢাকায় যাচ্ছে মানুষ। এ সময় একজন এম্বুল্যান্স ড্রাইভার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঢাকা থেকে রুগী নিয়ে আসছিলাম পাংশায়। তবে ফেরার পথে যাত্রী পেয়ে গেলাম নিয়ে যাচ্ছি তাতে করে তেলের দাম উঠবে।

এম্বুল্যান্সে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন যাত্রী বলেন, ভাই ঢাকা যেতে হবে কিছু করার নাই। তবে ভেঙে ভেঙে যাওয়ার চেয়ে এম্বুল্যান্সে যাওয়া অনেক বেটার। কারণ পুলিশের ঝামেলা নাই, নাই পারাপারের ও অসুবিধা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো: শিহাব উদ্দিন বলেন, জরুরি পণ্যসেবা, রোগী ও লাশবাহী গাড়ি পার করার জন্য ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তবে, সুযোগ বুঝে যাত্রী ও ছোট গাড়িও পার হয়ে যাচ্ছে। মানবিক কারণে তাদের ফেরি থেকে নামিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বর্তামানে এ নৌরুটে ১৬ টি ছোট বড় ফেরি রয়েছে। জরুরি যানবাহন নদী পারাপারের জন্য ৯ টি চলাচল করছে।

(একে/এসপি/জুলাই ২৫, ২০২১)