মোহাম্মদ সজীব, ঢাকা : করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে পালিত হচ্ছে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলেই নানা ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন সড়কে মানুষ ও ব্যক্তিগত পরিবহনের চাপ বেড়েই চলছে। অনেক স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট ঢিলেঢালা হওয়ায় অবাধে মানুষ চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

এবারের লকডাউন আগের লকডাউনের চেয়ে কঠোর হওয়ার কথা থাকলেও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন চেকপোস্টে দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব। ঢাকার বাইরে থেকে আজও মানুষকে ঢুকতে দেখা গেছে নানা উপায়ে।

কিশোরগঞ্জ থেকে আসা খালেক জমাদ্দার নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। রবিবার পর্যন্ত ঈদের ছুটি থাকায় গ্রামে ছিলাম। আজ সোমবার থেকে অফিস খোলা তাই সকালে বাড়ি থেকে ঢাকায় এসেছি। বাস বা যানবাহন না পাওয়ায় ভেঙে ভেঙে ঢাকায় আসতে হয়েছে।

চেকপোস্টে কোনো ধরনের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না তেমন কোনো জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়নি।

সাবের বেপারি এসেছে শরিয়তপুর থেকে, যানবাহন না পাওয়াতে পেন্ট কাছা দিয়ে অনেকেটা পথ নাকি হেটেই চলে এসেছেন। রাস্তায় নাকি কনো চেক পোস্টে পরতে হয় নায়। কিশোরগঞ্জ থেকে আজ ঢাকায় এসেছেন মফিজ উদ্দিন তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরে একটি মুদি দোকানে কাজ করি। ঈদের ছুটি শেষ করে কাজে যাচ্ছি। কিশোরগঞ্জ থেকে ভেঙে ভেঙে মহাখালী পর্যন্ত এলাম। তবে কোথাও কোনো চেকপোস্টে কিছুই জিজ্ঞেস করা হয়নি। কিছু কিছু চেকপোস্টে ২/১ জন পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। কই তারা তো কোনো কিছু জিজ্ঞেস করে না।

কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম কয়েক দিন রাস্তায় রিকশা চলাচল বেশি থাকলেও অন্য যানবাহনের চলাচল খুবই কম ছিল। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনে আজ রাস্তায় রিকশার পাশাপাশি প্রাইভেটকার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলের চলাচল বেড়েছে। অন্যদিকে, রাস্তায় মানুষের চলাচলও বেড়েছে। এছাড়া রাস্তার অনেক জায়গায় ভাসান দোকানও দেখা গেছে।

পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে ওলি গলি সব জায়গাতেই দেখা গেছে মানুষের ভিড়।

রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী গিয়ে দেখা যায় মানুষের লম্বা সিরিয়াল। বাশ দিয়ে আটকানো প্রবেশ পথ ভেঙে ভিতরে ধুকছেন।পুলেশের টহল গাড়ি দূর থেকে দেখেই দৌড়ে পালাচ্ছে। পুলিশ চলে গেলে সেই যায়গা আবার মানুষের আড্ডা। কিছু চায়ের দোকানে রাতে সাটার নামিয়ে পন্য বিক্রি হচ্ছে।

দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা কাছে যানতে চাইলে তারা বলেন মানুষ কি করবে আমরা সবাইকে মানবিক দৃষ্টিতে দেখছি।

(এস/এসপি/জুলাই ২৬, ২০২১)