রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার পাইথালীর যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী আবুল হাশেম সরদার ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের কবরস্থানের জায়গা জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও এক মাসেও কোন প্রতিকার পাননি ওই অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক।

আশাশুনি উপজেলার পাইথালী গ্রামের মৃত জহিরউদ্দিন সানার ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল বারী সানার গত ২১ জুন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন থেকে জানা যায় পাইথালী মৌজায় মায়ের ওয়ারেশসূত্রে প্রাপ্ত তিনটি দলিলমূলে ৫৮ শতক জমির মালিক হন তিনি। ওই জমি নিয়ে বিরোধ হওয়ায় চাপড়ার কুখ্যাত রাজাকার যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী (৯০ নং) আবুল হাশেমসহ তার ভাইদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালতের নোটিশ ভঙ্গ করায় ১৮৮ ধারা মোতাবেক বিবাদীদের বিরুদ্ধে ননএফআইআর মামলা হয়। আদালত এক আদেশে বিবাদীপক্ষদের বিরোধপূর্ণ জমিতে যেতে নিষেধ করে। এরপরও তারা ওই জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, পৈতৃক সূত্রে দু’ শতক জমি ও ছেলে আলমগীরের ২০০১ সালে কেনা পাঁচ শতক জমিতে তিনি শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে রয়েছেন। তার ছেলে আলমগীর মৃত্যুর আগে তার লাশ ওই জমিতে দাফন করার ব্যাপারে ওছিয়ত করে। চলতি বছরের ৭ জুন তার ছেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ওই সাত শতক জমিতে লাশ দাফন করতে গেলে আবুল হাশেম ও তার ভাইয়েরা বাধা দেয়। নিরুপায় হয়ে আলমগীরের লাশ অন্যত্র দাফন করতে হয়। এমতাবস্থায় তিনি ও তার পরিবার রাজাকার হাশেমের ওই জমি দখলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে।

এ ব্যাপারে আবুল হাশেমের সঙ্গে বুধবার সকালে তার ০১৭৪৩-৯৩১৬৩৩ নং মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

(আরকে/এসপি/জুলাই ২৮, ২০২১)