আবীর আহাদ


আজ আমি অত্যন্ত গর্বের সাথে বলছি। বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞাই প্রকৃত 'মুক্তিযোদ্ধা' নির্ধারণে সর্বোত্তম সংজ্ঞা বলে বহুকাল পূর্ব থেকে বলে আসছি। বিষয়টি নিয়ে সচেতন ও প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমার এ অবস্থানের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন জানিয়ে তারাও লেখালেখি করে এলেও 'মুক্তিযোদ্ধা' নামধারী একটি বিরাটসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা, এমনকি জামুকা তথা সরকার এটাকে কোনো গুরুত্বই দেননি। কারণ ঐ তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অধিকাংশই অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি রাজাকারও রয়েছে। জামুকার গোঁজামিলের সংজ্ঞা ও নির্দেশিকার ফাঁক গলিয়ে তারা অর্থ, আত্মীয়তা ও রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তিযোদ্ধা বনে গেছে ! ফলে মুক্তিযোদ্ধা তালিকার অমুক্তিযোদ্ধা ও জামুকা তাদের অভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে আমাদের বক্তব্যকে একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু কথায় আছে, গরিবের কথা বাঁসি হলেও খাটে'। এখানেও তাই ঘটেছে। নরসিংদীর প্রখ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ আহমেদ শাহসহ আরো চারজন মুক্তিযোদ্ধা এতদসংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে রীট দায়ের করলে হাইকোর্টও বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার যথার্থতা অনুধাবন করেছেন।

পরিশেষে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর ‘মুক্তিযোদ্ধা’র বিভিন্ন সংজ্ঞা নির্ধারণ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূল সংজ্ঞার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ঘোষিত ‘মুক্তিযোদ্ধা’ সংজ্ঞা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে কেন তা বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

একই সঙ্গে ‘লাল মুক্তিবার্তা’, অন্যান্য অননুমোদিত দলিলাদি এবং বিভিন্ন সময়ে ঘোষিত সংজ্ঞার ভিত্তিতে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পন্থায় ঘোষিত ‘মুক্তিযোদ্ধা’ সংজ্ঞা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া সংজ্ঞার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ উল্লেখ করে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ ওই রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আমলে ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুসারে তিন বাহিনীর বাইরে সাধারণ নাগরিক যারা কোনো না কোনো বাহিনীর অধীনে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তারাই মুক্তিযোদ্ধা হবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ওই সংজ্ঞা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পন্থায় পরিবর্তন করা হয়। এর মাধ্যমে যারা যোদ্ধা হিসেবে অংশ নেননি, তাদেরও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই–বাছাইয়ের জন্য ‘লাল মুক্তিবার্তা’কে প্রশ্নের ঊর্ধ্বে দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। অথচ লাল মুক্তিবার্তার আইনগত কোনো অনুমোদনও নেই। কারণ, এটি কোনো সরকারি প্রকাশনা নয়। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল জারির নির্দেশ দেন।”

এ দায়েরকৃত রীটের ভাগ্যে কী আছে তা বলা মুশকিল হলেও এটা তো প্রতিষ্ঠিত হলো যে, হাইকোর্টের প্রাথমিক অবজারভেশনটি আমাদের চিন্তাচেতনার সাথে মিলে গেছে। তাইতো আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন মানুষ হাইকোর্টের এ রুলনিশিকে স্বাগত: জানিয়েছেন। বিপুলসংখ্যক মানুষের সম্মিলিত মতামতকে আইন ও আদালত বিবেচনায় নিয়ে থাকেন।সে নিরিখে আমরা মনে করি, বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার পক্ষে রায়টি আসবে। সেক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ সরকার ঐতিহাসিক, দার্শনিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার পক্ষে অবস্থান নেবেন।

বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার পক্ষে আওয়ামী লীগ সরকার কেনো থাকতে হবে এবং কী প্রক্রিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়নসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে অমুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের বিতাড়ন করত হবে সে বিষয়ের ওপর আলোকপাত করছি।

একথা আজ সর্বজনবিদিত যে, বাংলাদেশের প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন দেশবাসীর কাছে জামুকা প্রণীত ভুয়াভরা মুক্তিযোদ্ধা তালিকাটির কোনোই গ্রহণযোগ্যতা নেই। ফলে সেটি অনুমোদন না করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালের মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার ভিত্তিতে, উচ্চ আদালত ও সামরিক বাহিনীর সমন্বয়ে একটি 'জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমিশন' গঠন করে যথাযথ যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি। জাতীয় ইতিহাসের স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্ভুল তালিকা প্রণয়নের প্রয়োজনে যদি আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয় তা নিশ্চয়ই মুক্তিযোদ্ধারা করবেন। তবে কোনো অবস্থাতেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাসহ সচেতন দেশবাসী কোনো গোঁজামিলের সংজ্ঞা ও প্রতারণামূলক নির্দেশিকার কারসাজিতে হাজার হাজার অমুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারমিশ্রিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা মেনে নেবেন না।

আমরা রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা বড়ো বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করে আসছি যে, অতীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার থেকে শুরু করে চলমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারিভাবে কমবেশি ২ লক্ষ ৩৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। তথাকথিত যাচাই বাছাই অন্তে হয়তো শেষপর্বের প্রকাশিতব্য তালিকায় সামান্যসংখ্যক কমতে পারে যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যাবে না। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে ছিলাম, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নিরন্তর গবেষণাকর্মে নিয়োজিত আছি তারাই জানি মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কতো হতে পারে। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধা নির্ণয়ে বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সালে যে সংজ্ঞা দিয়ে গেছেন, সেটিকে মূল ধরে আগালে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কোনো অবস্থাতেই ১ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি হবে না। সংগতকারণে বঙ্গবন্ধু সরকারের মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞাটি এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সেটি হলো : Freedom Fighters (FF) means any person who had served as a member of any force engaged in the War of Liberation [ মুক্তিযোদ্ধা মানে একজন ব্যক্তি যিনি মুক্তিযুদ্ধে নিয়োজিত যেকোনো সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য হিশেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ]। এ প্রেক্ষাপটে হাইকোর্ট উপরোক্ত রুলনিশি জারি করেছে যার মধ্য দিয়ে আমাদের চিন্তাচেতনাটি প্রস্ফুটিত হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

বিগত বিএনপি- জামায়াত জোট সরকারের ফর্মুলায় আওয়ামী লীগ সরকার জামুকা নামক যে কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি করেছেন, এই জামুকার চেয়ারম্যান (মুবিমমন্ত্রী)সহ এর সদস্যরা তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে শুধু জটিলতাই সৃষ্টি করে আসছেন। এদের দিয়ে রাজাকারদের তালিকা করাতে গিয়ে যে হযবরল হয়েছিলো, ঠিক তেমনি এদের হাত দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের গোঁজামিলের তালিকাই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ! কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তো বটে, গোটা বাঙালি জাতি কোনো তামাশা ও ছেলেখেলা দেখতে চায় না। অপরদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গোঁজামিলের তালিকা জাতির পিতার কন্যার হাত দিয়ে অনুমোদিত হয়ে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবে তা ভাবাই যায় না!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমরা বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা দ্বারা কেবলমাত্র সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারাই 'মুক্তিযোদ্ধা' বলে গণ্য হবেন। এ সংজ্ঞার আলোকে মুজিবনগর সরকারের নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সেক্টর কমান্ডের অধীনস্থ সেনা-বিমান-নৌ বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, এফএফ-গণবাহিনী, বিএলএফসহ দেশের অভ্যন্তরে গড়েওঠা কাদেরীয়া বাহিনী, হেমায়েত বাহিনী, হালিম বাহিনী, আফসার বাহিনী, আকবর বাহিনী ও অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য সবাই বঙ্গবন্ধুর সংজ্ঞার মুক্তিযোদ্ধা বলে গণ্য হবেন। তবে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তৎকালীন এমসিএ, কূটনীতিকবৃন্দ, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, স্বাধীনবাংলা বেতারের কলাকুশলী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিত্সক, ফুটবলার প্রভৃতি অ-সশস্ত্র ব্যক্তিবর্গও ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাতে কোনোই সন্দেহ নেই। তাঁদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি দেয়া হোক তা আমরাও চাই। তবে সবাইকে গড়ে "বীর মুক্তিযোদ্ধা" বলে দেয়া হবে চরম ইতিহাস বিকৃতি। মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্মপ্রক্রিয়ার নিরিখে যার যার ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে হবে। যেমন একজন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বংশিবাদক বা একটি গানের দোহাড় বা একজন ফুটবল দলের সদস্য মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে অবগাহন-করা শত্রুকে মেরে, নিজে মরে বা বুলেট ও গ্রেনেডে হাত পা ছিন্নভিন্ন হয়ে-যাওয়া কোনো ব্যক্তির সমান্তরাল হতে পারেন না। যার যার কর্মপ্রক্রিয়া বিচার-বিবেচনা করা হলে যার যার অবদানকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়; কারো সঙ্গে কারো সংঘর্ষ বাঁধার অবকাশ থাকে না। সুতরাং সশস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একদিকে রেখে, অন্যান্যদের যার যার কর্মপ্রক্রিয়া অনুযায়ী অন্য যেকোনো ঐতিহাসিক অভিধায় স্বীকৃতি দেয়া যেতেই পারে।

পরিশেষে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় হাজার হাজার অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি রাজাকাররাও স্থান পাচ্ছে, যে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করার নামে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞাকে অবমাননা করার মাধ্যমে তাঁকেই অপমান করা হচ্ছে, যে মুক্তিযোদ্ধা তালিকার মধ্যে বিশাল বাণিজ্যিক ধান্দা রয়েছে, যে তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয়ে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব ও মর্যাদায় বিশালসংখ্যক অমুক্তিযোদ্ধা ভাগ বসিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মানী ও অন্যান্য সুবিধাদি লুটপাট করছে এমনই একটি কলঙ্কজনক তালিকাকে অনুমোদন দিয়ে নিশ্চয়ই মহলবিশেষের চক্রান্তের ফাঁদে পা দিয়ে তিনি নিজের ভাবমূর্তিকে বিসর্জন দিয়ে ইতিহাসের পাতায় বিতর্কিত হবেন না।

অতএব বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার আলোকে উচ্চ আদালত ও সামরিক বাহিনীর সমন্বয়ে "মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় কমিশন" গঠন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্যাদা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সর্বজনগ্রাহ্য তালিকা প্রণয়নের দিকনির্দেশনা প্রদান করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।

লেখক :চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।