অমল তালুকদার, বরগুনা : দূর্যোগপুর্ন আবহাওয়া। সমুদ্র উত্তাল। গোটা উপকূল জুড়ে বিরামহীন ভারি বর্ষন।  এঅবস্থায় ৬৫দিনের অবরোধ শেষে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত পাথরঘাটা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার শতাধিক ইলিশধরা জেলেট্রলার তিরে ফিরে এসেছে। প্রবল বর্ষণে ভেসেগেছে মাছের ঘের। বিদ্যুৎ লাইনে গাছ উপরে পরে ১৮ঘন্টা  বন্ধ  থাকে বিদ্যুৎ সংযোগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয় পাথরঘাটা পৌরশহরসহ আশেপাশের এলাকা।

দূর্যোগপুর্ন আবহাওয়া আর প্রবল বর্ষণে অনেক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ডুবেগেছে পৌরশহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অনেকগুলো বাসাবাড়িসহ গ্রামের কাঁচা বাড়িঘর। বাতাসের তীব্র আঘাতে বিদ্যুৎ লাইনের তারের উপরে গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে এবং উপরে পরেছে। পল্লীবিদ্যুৎ কতৃপক্ষসূত্রে জানাগেছে, বুধবার ভোর থেকে বিদ্যুৎলাইনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা গাছ ও ডালপালা অপসারণ করে দুপুরে র দিকে পাথরঘাটার বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় সচল করা হয়। বিরামহীন বর্ষনে প্লাবিত হয়েছে অসংখ্য মাছের ঘের ।‌ এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে পাথরঘাটা সহ আশেপাশের এলাকার আবাদিজমির বীজতলা ,উঠতি নানা প্রজাতির শব্জীক্ষেত ডুবেগেছে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা জানান,৬৫দিনের অবরোধ শেষে সমুদ্রে ইলিশ আহরনে থাকা প্রায় শতাধিক জেলেট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে এবং পাথরঘাটার বিভিন্ন স্থানে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

পাথরঘাটার খলিফারহাট এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন কুদ্দুস জানান, বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়ে তার এবং আশেপাশের বেশক'টি মৎস্য ঘেরের কয়েকলাখ টাকার মাছ ভেসেগেছে।

কাঠালতলী এলাকার বাসিন্দা পঙ্কজ অধিকারী জানান,তাদের পানের বরজ বিধ্বস্ত হয়েছে। ধ্বসে পরেছে কাঁচা ঘর।

চরদুয়ানী এলাকার বাসিন্দা শওকত হাসান মিলন জানান,দক্ষিন কাঠালতলী আমতলা এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনে ভেঙে পরা গাছপালা স্থানীয়রা অপসারন করে বুধবার সকালে।

কালিবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা শংকর হালদার জানান,বৃষ্টিপাতের ফলে পুকুরের মাছ ভেসেগেছে। জমির বীজতলা ডুবেগেছে। গবাদিপশুর ঘাসের ব্যবস্থাও নাই।সব এখন জলমগ্ন।

বুধবার বিকেলে এপ্রতিবেদন তৈরিকালে চারদিক দিয়ে মুঠোফোনে ক্ষয়ক্ষতির খবরাখবর আসতেছিল। আর অন্ধকারে ঢাকা ছিল পুরোএলাকা।ডুবেছিল পৌর এলাকার অনেক বাসাবাড়ি‌ আর রাস্তাঘাট। চলছিল বিরামহীন গতিতে অঝোড়ধারায় বর্ষণ।

(এটি/এসপি/জুলাই ২৮, ২০২১)