আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : ‘আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে দেশের এই চরম সংকটে রাজবাড়ী জেলার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি নিজের সামর্থ দিয়ে।’

এই কথাগুলো বলেছেন রাজবাড়ী জেলার সন্তান, গণতন্ত্রের চরম সংকটে ফখরুদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু।

সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা ছাত্র জীবনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থালাভ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।

শুধু তাই নয়, এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সর্বপ্রথম সেনা সমর্থিত সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেত্রী মুক্তির আন্দলোন শুরু করেন, যার ফলস্বরূপ সারাদেশে নেত্রী মুক্তির আন্দোলন শুরু হয়।

সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতার জন্ম রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার মোহনপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তার পিতা শেখ রফিকুল ইসলাম ছিলেন মুজিব রণাঙ্গনের সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনিও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কালুখালি উপজেলা শাখার অন্যতম সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।

শেখ সোহেল রানার বেড়ে উঠা রাজবাড়ী-২ সংসদীয় আসনের অন্যতম শহর পাংশা পৌর এলাকায়। যার ফলে গত পাংশা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী হয়ে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেন শেখ সোহেল। এছাড়াও নির্বাচনের দিন পৌরসভা এলাকার কুড়াপাড়ার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তিনি ভোটও দেন।

আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে ছেলে বেলা থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে যুক্ত হন।

দিনে দিনে তিনি নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলেন, যার ফলে শেখ হাসিনা নিজেই শেখ সোহেল রানা টিপুকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেন। পরবর্তীতে তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন।

গত দুই বছর ধরে করোনা মহামারীর কারণে নিম্ন আয়ের পেশাজীবীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তিনি তার কর্মীদের দিয়ে এমনকি নিজেও রাতের অন্ধকারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন অসহায় মানুষের কাছে।

কেউ কেউ মনে করেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে সোহেল রানা টিপুর মতো একজন দক্ষ ও নিবেদিত প্রাণ কর্মীর থাকা খুবই প্রয়োজন। এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় সোহেল রানা টিপুর নিবেদিত প্রাণ কর্মী শাহীন হোসাইন, মুন্সী জাহিদুল ইসলাম ও জিয়া মোল্লার। তাদের একটাই আকাঙ্ক্ষা, আগামী জেলা কাউন্সিলে তাদের নেতা শেখ সোহেল রানা টিপুকে যেন করা হয় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ব্যাপারে সোহেল রানা টিপু বলেন, রাজবাড়ী জেলায় আরও অনেক প্রবীণ গুণী নেতা রয়েছেন; তাদেরকে যেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মূল্যায়ন করেন, এটাই আমার চাওয়া। তবে আওয়ামীলীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আমার অভিভাবক শেখ হাসিনা চাইলে আমি যেকোনো দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তৈরি।

(একে/এসপি/জুলাই ২৮, ২০২১)