রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল পৌরসভার বিভিন্ন অঞ্চলের হাট বাজারের ময়লা আর্বজনার বর্জ্য মহাসড়কের পাশে ফেলায় দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। রয়েছে বিভিন্ন রোগ বালাই সংক্রিমত হওয়ার শংকা।

পৌর শহরের রাণীশংকৈল–পীরগঞ্জ মহাসড়কের কুলিক নদী সেতুর সংলগ্ন সড়কে এ বর্জ্য ফেলছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছেন পৌরসভার ময়লা ফেলানোর নিজস্ব জায়গা না থাকায় সড়কের পাশে বর্জ্য ফেলতে হচ্ছে তাদের।

২০০৪ সালে স্থাপিত পৌরসভার নেই নিজস্ব জায়গা বা ভবন। ভাড়া অফিসে কাযর্ক্রম চালিয়েই বছর দুয়েক আগে গ শ্রেণী থেকে খ শ্রেণীতে উন্নতি হয়েছে পৌরসভাটি। তবে শ্রেণী পরির্বতন হলেও ময়লা আর্বজনা ফেলানোর নিজস্ব জায়গা করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মহাসড়কের দু-ধারে ময়লা আর্বজনা ফেলে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। আর্বজনাগুলো এলোমেলো হয়ে এবং সামান্য বাতাসে সড়কের দিক ধেয়ে আসছে। পথচারীরা পায়ে হেটে গেলে মুখে কাপড় দিয়ে চলাচল করছে। প্রতিবেদকের সামনেই স্থানীয় এক নারী বাসিন্দা ঐ মহাসড়ক দিয়ে সেতুর পাশে ছাগল বাধতে যাওয়ার সময় মুখে কাপড় ঢেকে যাচ্ছিল। এ সময় তাকে কেন মুখে কাপড় দিয়েছেন প্রশ্নে বলেন, খুব দুর্গন্ধ কড়া রৌদ হলে তো দুর্গন্ধের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। স্থানীয় এক শ্রমিক নেতা বলেন, বিগত কয়েকমাস থেকে এখানে ময়লা আর্বজনা ফেলানো হচ্ছে। প্রচুর পরিমাণের দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। পৌরসভার উচিত এর একটা বিহিত করা।

তবে সচেতন মহল দাবী করছে সেতুর পাশে এভাবে ময়লা আর্বজনা ফেলানো ঠিক না । কারণ এক সময় এই ময়লা পলিথিন পচা আর্বজনা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে নদীতে মিশে যেতে পারে এতে নদীর পরিবেশগত ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।

ঐ এলাকার সংরক্ষতি আসনের কাউন্সিলর (১,২,৩) ও প্যানেল মেয়র-৩ হালিমা আক্তার ডলি মুঠোফোনে বলেন, মানুষের সমস্যা হয় এমন কোন কাজ পৌরসভা করবে না। মহাসড়কের পাশে ময়লা আর্বজনা ফেলানোর বিষয়টি আমি সামনে পৌরসভার সভায় উপস্থাপন করবো।

এ নিয়ে পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, পৌরসভার নিজস্ব কোন স্থান নেই ময়লা আর্বজনা ফেলানোর। তাই পাইলট স্কুল এলাকায় শিবদিঘী হ্যালিপ্যাড ও কুলিক নদীর সংলগ্ন মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলতে হচ্ছে। আপনারা যদি নিউজ করেন বা বলেন, তাহলে আমি ময়লা পরিস্কার বন্দ করে দেব। আমার জন্য আরো ভালো হলো। তিনি আরো বলেন, জমি না থাকলে আমি কি করবো তাই বাধ্য হয়ে ময়লা পরিস্কার বন্ধ করে দিতে হবে।

(কেএস/এসপি/জুলাই ২৯, ২০২১)