আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে, মা আশা (এনজিও) বাগদুলী শাখায় চাকরি করেন। ওই শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সহকর্মীর মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়েছে। অভিযোগের পেক্ষিতে পাংশা মডেল থানা পুলিশ বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) আশার বাগদুলী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আতিয়ার রহমানকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়।

ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার স্ত্রী আশা এনজিওর একই ব্রাঞ্চে চাকরি করে। গত ২৫ জুলাই আমি ও আমার স্ত্রী ব্যাংকের কাজে বাইরে গিয়েছিলাম। আমার শিশুকন্যা বাসায় ছিল। আমরা বাড়িতে না থাকায় আশা এনজিওর ম্যানেজার আতিয়ার রহমান আমার শিশু কন্যাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে তার সাথে অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করে এবং আমার মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখায় কাউকে কিছু না বলার জন্য। পরে আমরা স্বামী-স্ত্রী বাসায় আসলে আমার শিশু কন্যা আমাদের কাছে সব কিছু বলে দেয়। বিষয়টি আশা এনজিওর সোনাপুর অঞ্চলের আর এম ম্যানেজার বাবুল হোসেন ও রাজবাড়ী ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সমসেরকে জানাই। তারা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেও ব্যবস্থা নেননি। পরে আমি বাধ্য হয়ে সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় পাংশা থানা পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠান। পরে ওই ছাত্রীর জবানবন্দি নিয়ে আসামিকে আটক করেন। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।

(একে/এসপি/জুলাই ২৯, ২০২১)