রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে গ্রাম্য শালিস বৈঠকে সংর্ঘষে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের লক্ষীকোলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

জানা গেছে, লক্ষীকোলা গ্রামের জিয়াউর রহমান ও তার ভাই জাকির হোসেনের লাগানো লাউ গাছ কে বা কাহারা তুলে ফেলে দেয়। গাছ তুলে ফেলার জের ধরে প্রতিবেশী আতিকুল ইসলামের স্ত্রীকে সন্দেহ করে গাল-মন্দ করে। এরই জ্বের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এরপর দুপুর নাগাদ আতিকুল বাড়িতে আসলে আবারো দন্দ্ব হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু সমাধান করতে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রামের স্কুল মাঠে শালিস বৈঠক বসে। ওই বৈঠক চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে সংর্ঘষ বাধে।

এতে আতিকুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী রুপালী বিবি (২৫), আতিকুলের শ্বাশুড়ী রুজিনা বিবি (৪২) আহত হয়। এছাড়া জাকির হোসেন (৪৬), স্ত্রী শাহানাজ (৩৬), ছেলে শান্ত (১৭) ও সৌরভ হোসেন (১৫) আহত হয়। আহতদের রাণীনগর এবং আত্রাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আতিকুলের স্ত্রী এবং শ্বাশুড়ীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, লাউগাছ কে বা কাহারা তুলে ফেলে দিয়েছে। তার জের ধরে আমার স্ত্রীকে সন্দেহ করে গাল-মন্দ করে এবং জাকিরের ছেলে শান্ত ও শান্তর মা আমার স্ত্রী, শ্বাশুড়ী ও বোনকে মারপিট করে। এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বৈঠক ডাকলে বৈঠক চলাকালে শান্ত আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে। আমরা জাকির বা ওদের কাউকে মারিনি।

এ ব্যাপারে জাকির হোসেন বলেন, সকালের দ্বন্দ্বের জের ধরে আতিকুল আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে দরজা ভাংচুর করেছে। তার পরে সমাধানের জন্য আতিকুলই বৈঠক ডেকে শালিসে বিচারকরা যে রায় দিয়েছে তা না মেনে আতিকুল ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করেছে।

বৈঠকের মাতাব্বর তফছের আলী বলেন, বৈঠকের শেষের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বসত: মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এখনো কোন পক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এসকেপি/এসপি/জুলাই ৩০, ২০২১)