স্টাফ রিপোর্টার : হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আড়াই কোটি টাকা মূল্যমানের আটটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রাসহ গ্রেফতার হওয়া জাহাঙ্গীর গাজী দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ (শুক্রবার) রিমান্ড শেষে আসামি জাহাঙ্গীরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। আসামি জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৬ জুলাই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তুরস্ক যাওয়ার সময় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর ২৭ জুলাই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। বিমানবন্দর থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির দশ দিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমামের আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আগে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। গত ২৬ জুলাই ভোর সাড়ে ৬টায় ফ্লাইটে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন শেষে উড়োজাহাজে ওঠার আগ মুহূর্তে তাকে আটক করা হয়। তার সঙ্গে মুদ্রা থাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে জাহাঙ্গীর অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে তল্লাশি করে তার ব্যাগের ভেতরে শার্টের মধ্যে লুকানো অবস্থায় আটটি দেশের মুদ্রা পাওয়া যায়।

এর মধ্যে ১১ লাখ ৬৫ হাজার সৌদি রিয়াল ছিল। এছাড়া ইউএসএ, মালয়েশিয়া, ইউরো, ওমান, কুয়েত, থাইল্যান্ড, দুবাইয়ের মুদ্রা ছিল। যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ বাংলাদেশি টাকা। বিমান যাত্রী জাহাঙ্গীর গত দুই বছরে ১৩৫ বার বিভিন্ন সময় আসা-যাওয়া করেন। তিনি মূলত ব্যাগেজ সুবিধায় বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা নেয়ার কাজ করতেন। এর আগে গত ২০ জুলাই প্রায় ১৪ কেজি তরল সোনা আটক করে আর্মড পুলিশ। এই সোনাও তুরস্ক থেকে আনা হয়। আটক মুদ্রাপাচারকারীও সোনা চোরাচালানের কাজে এই টাকা ব্যবহার করতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের।

(ওএস/এসপি/জুলাই ৩০, ২০২১)