ঝালকাঠি প্রতিনিধি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেতু মন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে জেলা আওয়ামীলীগ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আক্কাস সিকদারকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছে। এদিকে সাংবাদিকদের মারধর করে ছবি ফেসবুকে দেয়ায় আক্কাস সিকদারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক মামলায় চার্জশিট দিয়েছে বরিশাল পিবিআই। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ২টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা হলো। 

অপরদিকে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব আক্কাস সিকদারের পক্ষে এখন পর্যন্ত আওয়ামীলীগের মামলার নিন্দা বা প্রতিবাদ জানিয়ে কোন প্রেস রিলিজ দেয়নি।

এ প্রসঙ্গে প্রেসক্লাব সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দত্ত জানান, শুক্রবার জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ আমাদের সাথে তাদের কথা জানিয়েছে। আমরা খুব শিগ্রই একটি সাধারণ সভা ডেকে তারপর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাব। এছাড়াও ঝালকাঠির ৫টি সাংবাদিক সংগঠন এখন পর্যন্ত এ মামলার বিরোধীতা করে কোন প্রতিবাদ বা নিন্দা জানায়নি।

শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সরদার মো. শাহআলম ও সধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনিরসহ নেতৃবৃন্দ প্রেস ক্লাবে এসে আক্কাস সিকদারের বহিস্কারের দাবি জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল, শারমীন মৌসুমী কেকা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহামুদ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খসরু নোমান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আল আমিনসহ অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক শেষে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, আক্কাস সিকদারের বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মামলা হয়নি। আমাদের ২ জন মন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে মিথ্যা মন্তব্য করায় প্রমানাদীর ভিত্তিতে মামলা হয়েছে।

উল্টো এ মামলার বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে আক্কাস সিকদার। তাই তাকে ২ দিনের মধ্যে বহিস্কারের অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে। মামলা আইনের গতিতে চলবে বলেও জানান খান সাইফুল্লাহ পনির। উল্লেখ্য গত বুধবার রাতে আক্কাসের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রীকে নিয়ে মানহানীকর মন্তব্য করায় জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।

(এস/এসপি/জুলাই ৩০, ২০২১)