জসিম উদ্দিন জুয়েল, টঙ্গী (গাজীপুর) : চলমান বর্ষা মৌসুমে বেড়েছে মশার প্রকোপ। এরমধ্যে দেশব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নগরের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব এড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শুক্রবার সকালে ডেঙ্গু বিস্তার প্রতিরোধে মশক নিধনে চিরুনি অভিাযান কার্যক্রম এর শুভ উদ্বোধন করেন। ৫৭ টি ওয়ার্ডের ৭৬ জন কাউন্সিলরসহ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নিয়ে একযোগে এই চিরুনি অভিযান চলবে।

“তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন”, “পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, মশা মাছির বংশ শেষ”,“পরিবেশ রাখি পরিস্কার, বন্ধ করি মশার বিস্তার”, “ডেঙ্গু মুক্ত দেশ চাই, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নাই”। সুন্দর সচেতনতা ও উৎসাহমূলক স্লোগানে গাসিক মেয়র আলহাজ্ব এড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নিজে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বড় ড্রেনগুলোতে মশক নিধন ঔষোধ প্রয়োগ করেন।

এসময় তিনি বলেন, মশক নিধন আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম। বৈশ্বিক করোনা মহামারিকালীন সময় দেশ-বিদেশের যোগাযোগসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে কিছু ব্যত্যয় ঘটলেও দেশে করোনার উচ্চ ঝুঁকি অন্যদিকে ডেঙ্গু মশা যেনো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জনগণের জীবনে বিপর্যয় ঘটাতে না পারে সেজন্য আমি দ্রুত মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছি। এক্ষেত্রে আমি সকলের সহযোগীতা চাই। নির্মাণাধীন ভবন থেকে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ যেনো সৃষ্টি না হয় সে জন্য নগরবাসীর সচেতনতা দরকার।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন কিউলেক্স মশা মূলত নোংরা পানিতে হয়। এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন সজাগ আছে কিন্তু ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা পরিস্কার পানিতে বিস্তারলাভ করে, যা মানুষের বাসাবাড়িতে এবং নিজেদের সৃষ্ট অসচেতনতার কারনে হয়। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব অনেক। আমরা উন্নত কয়েকশত মেশিন এবং ৩০০ টন মশক নিধন ঔষোধ ব্যবস্থা করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় টঙ্গীর ১৫টি ওয়াডের্র কাউন্সিলরগণ তাদের নিজ নিজ এলাকায় মশক নিধন ঔষোধ প্রয়োগ করা শুরু করেছেন।

(জে/এসপি/আগস্ট ০১, ২০২১)