আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভূমধ্যসাগর থেকে প্রায় ১০০ অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সি-ওয়াচ নামের একটি এনজিও সংস্থা। জার্মানির এই সংস্থাটি জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই আহত ছিলেন। জ্বালানী এবং রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত পানির সংস্পর্শে আসায় অনেকের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে আবহাওয়া ভালো থাকায় লিবিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি ও ইউরোপের অন্যান্য অংশের উদ্দেশ্যে অভিবাসীদের ঢল বেড়ে গেছে। বিভিন্ন ছোট, বড় নৌকায় করে তারা বিপজ্জনক পথ পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছেন।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দারিদ্র ও যুদ্ধকবলিত দেশগুলো থেকে পালিয়ে আসা এক হাজার ১শ' জনেরও বেশি মানুষ ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে ভূমধ্যসাগরে সি-ওয়াচ থ্রি জাহাজ দুটি নৌকা থেকে ৩৩ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে। সংস্থাটি জানিয়েছে, মাল্টার জন্য নির্ধারিত ভূমধ্যসাগরের তল্লাশি ও উদ্ধার জোনে ওই দুটি নৌকাকে লিবিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী আটক করেছিল।

উদ্ধার পাওয়াদের মধ্যে নয় শিশু ছিল যাদের বাবা-মাকে পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে তিনজনের বয়স খুব কম। এছাড়া সাত মাসের গর্ভবতী এক নারীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার পাওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীরা দক্ষিণ সুদান, তিউনিসিয়া, মরক্কো, আইভরি কোস্ট ও মালির বাসিন্দা।

অপরদিকে, গত শুক্রবার ভোররাতে লিবিয়ার তল্লাশি ও উদ্ধার জোনে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই একটি কাঠের নৌকা থেকে ৬০ জনেরও বেশি ইউরোপ অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে সি-ওয়াচ থ্রি। উদ্ধার পাওয়াদের বেশিরভাগই লিবিয়ার নাগরিক বলে জানানো হয়।

মাত্র কয়েকদিন আগেই লিবিয়া উপকূলে শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়। ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছে। প্রায়ই এ পথে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেও লোকজনকে এ থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০১, ২০২১)