দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ভালো নেই ফরিদপুরের বাউল শিল্পীরা। করোনাকালীন সময়ে অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন কাটছে তাদের। একদিকে সারাদেশে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না থাকায় তাদের জীবন অনিশ্চয়তা ভরে গেছে । অন্যদিকে করোনাকালীন সময়ে এই মুহূর্তে তেমন কোনো সরকারি সাহায্য না পাবার কারণে তারা খুব অসহায় অবস্থার মধ্যে সময় পার করছেন।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর লালন পরিষদের সভাপতি পাগলা বাবলু খান আক্ষেপের সাথে বলেন ,আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা নিজেরাই উদ্বিগ্ন।

আমরা জানি না আগামীকাল কি হবে এবং আমরা কিভাবে বাঁচব। তিনি মহামারী করোনা কালীন সময়ে পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস তাদের ৭৫ জন শিল্পী কে ‌ প্রত্যেকে ১০০০ টাকা করে অনুদান দিয়েছিলেন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বিপিএম তাদের তিন দফায় তিনশত বাউল ও কলাকুশলী কে খাদ্যসাহায্য দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। এছাড়া ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার শিল্পকলা একাডেমী মাধ্যমে ১০০০০ টাকা দিয়েছিলেন। এছাড়া সরকারি বা বেসরকারি কোনরকম সাহায্য সহযোগিতা তারা পাননি।

একই সাথে তারা এই মুহূর্তে পরিবার-পরিজন নিয়ে ‌ খুব মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন। তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, ঘর ভাড়া ‌‌, শিক্ষকদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অত্যন্ত হতাশার মধ্যে সময় অতিবাহিত করছেন।

পাগলা বাবলু খান আরো জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্থানে ‌ হতদরিদ্র মানুষের জন্য যেভাবে বাড়িঘর তৈরি করে দিয়েছেন সেইভাবে ফরিদপুরের বাউল দের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করে দিলে তারা চির কৃতজ্ঞ থাকত । এবং সঙ্গীত চর্চা বাংলার কৃষ্টি অক্ষুন্ন থাকতো। তারা এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এছাড়া করোনাকালীন সময়ে এই অবস্থা না অবসান হওয়া পর্যন্ত বাউলেরা যাতে প্রতি মাসে অন্তত কিছু ভাতা পায় সে ব্যাপারে ‌জোর দাবি জানান।

(ডিসি/এসপি/আগস্ট ০১, ২০২১)