ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বালিশচাপা দিয়ে শিশু হত্যার অভিযোগে সৎ মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (৮ আগস্ট) সকালে সৎ মা নুপুর (২২) কে আসামি করে নিহত শিশুর পিতার ওমর ফারুক সোনাইমুড়ী থানায় মামলা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে একইদিন দুপুরে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের পদিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে হত্যার অভিযোগে সৎ মাকে আটক করে।

নিহত শিশুর মা নুর নাহার অভিযোগ করেন, বিগত ২০১৩ ইং সালে পারিবারিকভাবে তাকে বিবাহ করে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের পদিপাড়া গ্রামের জাফর মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি পুত্র সন্তান হয়। তার নাম আব্দুল্লাহ আল নাফিজ (৮)। শিশুটি শাহানাপাড় একটি এতিমখানায় পড়ালেখা করত। তার পিতা ওমর ফারুকের সাথে একই গ্রামের নুপুর নামে এক মেয়ের সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হলে এক পর্যায় সে ওই মেয়েকে বিবাহ করে। পরে তার প্রথম স্ত্রী সামছুন নাহারকে ২০১৯ ইং সালে তালাক প্রদান করে।

মা হারা শিশুটি এতিমখানা থেকে বাড়িতে এনে তার সৎ মা নির্যাতন করত। তার পিতার অনুপস্থিতে তার সৎ মা শনিবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে শিশু নাফিজকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে কাঁথা দিয়ে মরদেহ মুড়িয়ে খাটের ওপর মরদেহ শুইয়ে রাখে । পরে তার পিতা বাড়িতে এসে তার সন্তানকে চারদিকে খোঁজাখুঁজি করে সৎমাকে অন্যের ঘর থেকে ডেকে আনে। এক পর্যায়ে খাটের ওপর কাঁথা উঁচু করে মুড়ানো দেখে কাঁথা সরিয়ে দেখে শিশুটির মরদেহ। তার নাকের পাশ দিয়ে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সৎ মা নুপুরকে আটক করে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, হত্যার অভিযোগে শিশুটির পিতা নিহতের সৎ মাকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

(আইইউএস/এএস/আগস্ট ০৮, ২০২১)