সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : ভারতের মেঘালয়ের উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতের নদী হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার  আশঙ্কায় ভুগছেন সুনামগঞ্জের হাওর সীমান্তজদে থাকা তাহিরপুর বাসী। মেঘালয়ের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের নদী পাহাড়ি ছড়া ও হাওরের পানি এখন ফুঁসছে।

বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও সীমান্তনদী জাদুকাটা পাটলাই, বৌলাই, রক্তি বাগলী ছড়া নদী সহ প্রতিটি নদ-নদীই ও টাঙ্গুয়া, মাটিয়াইন, শনির হাওরে এখন ঢলের পানিতে পানিতে ভরপুর। প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে। ফলে বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর বাসী।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ০৩ সেন্টিমিটার, জাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এছাড়াও তাহিরপুরের সীমান্তনদী পাটলাই, বৌলাই, বাগলীছড়া সহ ছোট বড় ১৮টি পাহাড়ি ছড়া ও হাওর গুলোতে, কুশিয়ারা, লোভা, ধলাই এবং আগের দিনের চেয়ে শনিবার রাত অবধি পানি বৃদ্ধি কিছুটা অব্যাহত রয়েছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুশ্চিনতাও বাড়ছে।

কনিবার রাতে সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘন্টা মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির অবনতি হলে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। এদিকে গতএক সপ্তাহ থেকে শনিবার মধ্যরাত নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তাহিরপুর উপজেলা সদরের সাথে সাত ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাহিরপুর-বাদাঘাট, বাদাঘাট সোহালা, তাহিরপুর- আনোয়ারপুর, লাউরগড়-মহেষখেলা সীমান্ত সড়কের চাঁনপুর-টেকেরঘাট, লালঘাট-চারাগাঁও সড়কের একাধিক অংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এসব সড়কে গত এক সপ্তাহ ধরে মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা, পণ্যবাহী পিকআপ চলাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরী সেবা নিতে উপজেলা সদরে যাতায়াতগামী লোকজন সড়ক পথ বাদ দিয়ে ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা, স্পীডবোট, দেশীয় তৈরী নৌকাযোগে ঝুঁকি নিয়ে হাওর ও নৌপথে যাতায়াত করছেন।

কনিবার রাতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রায়হান কবির জানিয়েছেন, নদী ও হাওরের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও এখনও তাহিরপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়নি।

(এসএইচ/এএস/আগস্ট ১৫, ২০২১)