এম . খালেদ আহমেদ ও সোলায়মান তুষার


আমাদের দেশে জনস্বার্থ মামলা একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে।বিশেষ করে পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় জনস্বার্থ মামলা সহ অন্যান্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখে। জনস্বার্থ মামলা হলো যার মাধ্যমে জনসাধারণ বা জনসাধারণের একটি বৃহৎ অংশের স্বার্থ রক্ষার্থে আদালতে মামলা দায়ের করে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে জনসাধারণের একটি বৃহৎ অংশের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার বলবত করা হয়। জনস্বার্থ মামলার ভিত্তি হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ ও ১০২ অনুচ্ছেদ। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২ অনুযায়ী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিভিন্ন ধরনের রীট দায়ের করা যায়। সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তির আবেদনক্রমে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে প্রার্থীত প্রতিকার বা আদেশ প্রদান করতে পারেন।

আমাদের দেশে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থ মামলার রায় মাননীয় সুপ্রীম কোর্ট প্রদান করেছেন, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মাননীয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জনস্বার্থ মামলার গুরুত্ব এবং যথাযথ ক্ষেত্রে মূল্যায়ন প্রসঙ্গে ০৪/০১/২০২০ ইং তারিখের সুপ্রীমকোর্ট মিলনায়তনে সুপ্রীম কোর্ট অনলাইন বুলেটিন (স্কব) আয়োজিত ‘জনস্বার্থ মামলার অবস্থাঃ একটি রুপরেখা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য প্রদানকালে উল্লেখযোগ্য অংশে বলেন, সুবিধা বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় জনস্বার্থমূলক মামলা (পিআইএল) এখন সহায়ক ভূমিকা রাখছে। মানবাধিকার বিষয়ক বিচারকাজ এ মামলা দেশীয় মডেল হিসেবে বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করছে। তবে জনগনের অতি প্রশংসা যেন বিচারকদের প্রভাবিত না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।বিচারিক প্রক্রিয়ার পবিত্রতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করতে হবে।

স্বাধীনতা পরবর্তীকালে প্রথম উল্লেখ্য জনস্বার্থ মামলাটি হচ্ছে ২৬—ডিএলআর (এসসি)/এডি)—৪৪। জনস্বার্থ মামলা ধাপে ধাপে যথেষ্ট উন্নয়ন লাভ করেছে। পরবর্তীতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখ্য মামলা হচ্ছে ড. মহিউদ্দিন ফারুক—বনাম—বাংলাদেশ, ৪৯—ডিএলআর(এডি)—১। মামলাটি বেলা কেইস নামে সমাধিক প্রসিদ্ধ। বর্ণিত জনস্বার্থ মামলাটি মহামান্য আপীল বিভাগের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা সম্বলিত একটি যুগান্তকারী রায়। সময় যখন কিছুটা অতিবাহিত হচ্ছে , সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের কিছু কিছু ক্ষেত্রে হরেক রকম নমুনার আবির্ভাব হচ্ছে। কিছুটা রুপের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রচার ও প্রসার নীতির বাহকদের দ্বারা একেবারে গুণবিহীন, স্বার্থবিহীন বিরোধপূর্ণ বিষয় এবং ঘটনা নির্ভর মামলা প্রায় সময়ই দায়ের করতে দেখা যাচ্ছে। ফলে মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর ফলে সাধারণ রকমের জরুরী রীট মামলা অর্থাৎ চাকুরী সংক্রান্ত মামলা, নির্বাচনী মামলা, অধিগ্রহণ সংক্রান্ত মামলা, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, অর্পিত সম্পত্তি বিরোধ সম্পর্কিত মামলা ও শ্রম সংক্রান্ত মামলা ও আরও অন্যান্য জরুরী মামলার শুনানীর ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, কোন অন্যায়/যেকোন কারণ সম্বলিত বিষয় জনস্বার্থ মামলার বিষয়বস্তু হতে পারে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা প্রতিয়মান হয় যে, আপাত দৃষ্টিতে যে মামলাটি বা রীট পিটিশনটি জনস্বার্থ মামলা নয় তবুও এর পেছনে কায়েমী স্বার্থবাদী ব্যক্তিরা তাদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কিছু ব্যক্তি বা সংগঠন দ্বারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেনামিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে দেখা যায়। বিশেষত নির্মাণাধীন ভবন/শিল্পের থেকে সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করার জন্য ঐ সমস্ত সৃষ্ট জনস্বার্থ সংক্রান্ত রীট পিটিশন করতে দেখা যায়। ফলে অন্যান্য প্রকার রীট মামলার শুনানীর ক্ষেত্রে দীর্ঘ সূত্রতা কারণ হয়ে দাড়ায় । জনস্বার্থ রীট মামলার অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধপূর্ণ প্রশ্নজড়িত থাকে। অনেকসময় দেখা যায় জনস্বার্থ রীট পিটিশন দায়ের করে অনেকে প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যান। নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ ও সুবিধার লক্ষে বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে প্রচারে প্রসার নীতির বহিঃপ্রকাশ করে থাকেন।০৪/০১/২০২০ইং তারিখের সেমিনারে এই প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ উল্লেখযোগ্য অংশে বলেন যে, শুধু মিডিয়ার সামনে নিজেকে উপস্থাপনের জন্য কিছু আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা করছেন। এ ধরণের আইনজীবীরা মামলার করার সঙ্গে সঙ্গে মিডিয়ার সামনে গিয়ে হাজির হন। এটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে পাবলিক ইন্টারেষ্ট লিটিগেশন(পিআইএল) এখন পাবলিসিটি ইন্টারেস্ট লিটিগেশন হয়ে দাড়িঁয়েছে। জনস্বার্থ মামলা পরিচালনার নামে যারা নিজেদের মিডিয়ায় উপস্থাপনে ব্যস্ত তাদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, তারিখ—০৫/০১/২০২০)।

মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে দুই প্রখ্যাত মামলা যা ১৮—বিএলসি (এডি)—৫৪ এবং ১৮—বিএলসি(এডি)—১১৬নং পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ জনস্বার্থ মামলা দায়ের ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ১৮—বিএলসি (এডি)—৫৪ এর মত ফ্রিভলাস (তুচ্ছ) মামলা যাতে না হয় এবং ঐ সমস্ত মামলা দায়ের করে প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে এগুলো প্রচার করে নিজেদের প্রসারের চেষ্টা করে যে, এই ব্যাপারে বা কেউ এই ব্যাপারে প্রচারের ভঙ্গি করে থাকে সে ব্যাপারে মহামান্য আদালত এ রকম প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং ১৮—বিএলসি(এডি)—১১৬ পৃষ্ঠায় মহামান্য আপীল বিভাগ তুচ্ছ ও অযথা মামলা দায়ের করে রীটকারী অথবা আবেদনকারী কোন ব্যক্তি বা সম্প্রদায় কে অযথা হয়রানী না করে সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনের ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১৪টি নীতি নির্ধারণ করিয়া অর্থাৎ ১৪টি নীতি সম্বলিত একটি বিশদ বর্ণনা সম্বলিত প্রখ্যাত রায় প্রদান করিয়াছেন যাহা ১৮—বিএলসি (এডি)—১১৬ ঐ প্রখ্যাত রায় প্রকাশিত হয়েছে। জনস্বার্থ মামলার আওতা দেখিয়ে কিছু কিছু ব্যক্তি বা সম্প্রদায় তাদের ব্যক্তি স্বার্থ ও কায়েমি স্বার্থবাদীর সুবিধা রক্ষা করার জন্য জনস্বার্থ মামলার রুপ ধারণ করে যখন বর্ণিত উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় এই রকম উদ্ভূত পরিস্থিতির ক্ষেত্রে ভারতের মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট একটি উল্লেখযোগ্য রায় প্রদান করেন যা এ.আই.আর—২০০৫ (এস,সি)—৫৪০ এ প্রকাশিত হয় ।

ঐ মামলাটিতে রীটকারী একটি অবৈধ নির্মাণ কাজের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলে ভারতের বোম্বে হাইকোর্ট, নাগপুর বেঞ্চ রীট মামলাটি খারিজ করেন এবং মামলাটি জনস্বার্থের মামলায় প্রতিষ্ঠিত নীতির পরিপন্থী হওয়ায় উক্ত জনস্বার্থ রীট মামলায় রীটকারীকে মহামান্য ভারতীয় উচ্চ আদালত তাহার সমালোচনা করেন এবং জরিমানাও করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষণ করেন যে, যদিও জনস্বার্থ মামলা সমূহ ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে তবে এটা যাতে প্রচার নির্ভরশীল অথবা ব্যক্তি স্বার্থ বা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত না হয়, আরও উল্লেখ করেন যে, রীটকারী পরিচ্ছন্ন হৃদয় (পরিস্কার মন ও সত্য) উদ্দেশ্য নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে হবে। উক্ত মামলায় মহামান্য আদালত (অমূলক) জনস্বার্থ মামলার কারনে অন্যান্য প্রকার প্রয়োজনীয় দেওয়ানী/রীট ও ফৌজদারী মামলা যথা অনেক টাকার সম্পর্কিত দেওয়ানী মামলা, মৃত্যুদন্ড সংক্রান্ত মামলা, চাকুরী সংক্রান্ত মামলা, পাবলিক রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত মামলা ও ডিটেনশন (আটকাদেশ) সংক্রান্ত মামলা শুনানীতে দারুণ ব্যাঘাত সৃষ্টি করে থাকে। কিছু কিছু রীটকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরুপে জনস্বার্থ ছাড়াই তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সুবিধা লাভের উদ্দেশ্যেই বা অন্যদের বেনামীতে প্রতিনিধিত্ব দেওয়া অথবা স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেই ভিন্ন পথ অবলম্বন করেন। এভাবে তুচ্ছ ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে অবৈধ পন্থায় দুষ্ট মন নিয়ে (ফৌজদারী অর্থে) অর্থাৎ কোর্টের মূল্যবান সময় নষ্ট করে, ফলশ্রুতিতে অন্যান্য মামলা শুনানীতে বিলম্ব হয়। এরকম ক্ষেত্রে অন্যান্য শ্রেণীর মামলায় শুনানীতে জট সৃষ্টির কারন হয়ে দাড়াঁয়। ফলে প্রকৃত মামলা দায়েরকারীদের মনে হতাশার কারণ দেখা দেয়। তুচ্ছ ও ভিত্তিহীন মামলার জন্য উক্ত রায়ে (এ,আই,আর—২০০৫ (এসসি)—৫৪০ এ প্রকাশিত) খরচ আরোপ করা হয়। যার ফলে ঐ মামলার রায়ে তুচ্ছ মামলাকারীদের বা অযথা মামলাকারীদের ক্ষেত্রে মাননীয় আদালতের একটা বিরাট সতর্কমূলক বার্তা বহন করে। এই প্রসঙ্গে এ,আই,আর (এসসি)—৮৯৪ মামলাটি যা আর,এম ট্রাষ্ট মামলা নামে খ্যাত, ঐ মামলায় ভারতের মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট জনস্বার্থ মামলায় তামাদির প্রযোজ্যতার বিষয়ে একটি প্রনিধাণযোগ্য রায় প্রদান করেছেন, বিলম্বের বিষয়টি রীটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করেন। কারণটি হচ্ছে মূলত বিলম্বের কারণে ও সময়ের পরিবর্তনে কেউ কেউ সুবিধা আদায় করতে না পারেন।

বর্তমানকালে তুচ্ছ ও ভিত্তিহীন মামলা গুলোর কারণে জনস্বার্থ মামলায় অধিক্য দেখা যাচ্ছে। পরবর্তীতে মাননীয় বিভিন্ন উচ্চ আদালত প্রত্যক্ষ করেন যে, তুচ্ছ ও অযথা জনস্বার্থ মামলা দায়েরের ফলে উচ্চ আদালত কানায় কানায় ভরপুর হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ভারতে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় প্রদান করেন যাহা (২০০৮)(৫) এস,সি,সি—৫১১ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত (কমন কজ কেইস নামে খ্যাত) রায়টি অধিকতর গুরুত্ব বহন করে। অত্র রায়ে ইতিপূর্বে বর্ণিত এ,আই,আর ২০০৫ (এস,সি) ৫৪০ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত রায়ের সমর্থন করেন।উক্ত রায়ে জনস্বার্থ মামলার আধিক্যের কথা এবং প্রচার ও প্রসারসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে রীটকারীদের সুবিধা আদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে। বর্তমান ক্ষেত্রে আরও দেখা দরকার যে বঞ্চিত লোকজনের নামে যে মামলা করা হচ্ছে তা আদৌ বঞ্চিতদের পক্ষে কিনা তা যাচাই বাছাইয়ের দাবী রাখে ।বিশেষত উল্লেখযোগ্য যে , জমিজমা সংক্রান্ত ও নির্মাণ সংক্রান্ত বিরোধের জনস্বার্থ মামলার ক্ষেত্রে অনেক সময় অনেক বিরোধপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত থাকে। সেই সকল জনস্বার্থ মামলার ক্ষেত্রে রীট পিটিশন সরাসরি বিবেচনায় না এনে সুযোগ্য দেওয়ানী আদালতে বিচার দাবী ফলপ্রসূ বলে মনে হয়, এ বিষয় গুলো অর্থাৎ বিরোধীপূর্ণ বিষয় নিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগে অসংখ্য উল্লেখযোগ্য রায় রয়েছে।

এই বিরোধপূর্ণ বিষয় গুলো দেওয়ানী আদালতেই বিচার্য্য হওয়া দরকার। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখযোগ্য যে, বর্তমানে ইংল্যান্ডে জনস্বার্থ মামলা ১৯৮১ সনের সুপ্রীম কোর্ট আইনের ৩১ ধারা এবং তৎসংশ্লিষ্ট রুল বা বিধি দ্বারা জনস্বার্থ মামলা পরিচালিত হচ্ছে। আইন/বিধি দ্বারা যদি অনুমতি লাভ (লিভ গ্রান্ট) না করলে জনস্বার্থ সংক্রান্ত জুডিসিয়াল রিভিউ চলতে পারে না। উপরোক্ত বর্ণনার আলোচনার আলোকে ১৮—বিএলসি (এডি)—৫৪ এবং ১৮—বিএলসি (এডি)—১১৬, এ,আই,আর—২০০৫ (এসসি)—৫৪০ এবং ৮৯৪, এবং ২০০৮(৫) এস,সি,সি—৫১১ এর রায় এবং এ.আই.আর (২০০১) এস.সি.ডব্লিউ ৫১৩৫ প্রকাশিত বেলকো মামলার রায় বিবেচনা করে রায় প্রদানের দাবী রাখে ফলে তুচ্ছ ও হয়রানী মূলক মামলা নিবারনের লক্ষ্যে বর্ণিত বেলকো মামলার রায়ের আলোচনার আলোকে সিকিউরিটি আরোপ বা যুক্তি সঙ্গত মতে শর্ত আরোপ করলে তুচ্ছ ও হয়রানী মূলক জনস্বার্থ মামলা স্বয়ংভাবে কমে যাবে এবং প্রকৃত, প্রয়োজনীয় ও সঠিক জনস্বার্থ মামলা থাকবে এবং চলবে।

লেখক : এডভোকেট এম. খালেদ আহমেদ সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সিনিয়র সহ—সভাপতি, সোলায়মান তুষার একজন ব্যারিস্টার ও আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ।