ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে চোখের চিকিৎসা দিচ্ছেন প্যারামেডিকেলসহ কিছু হাতুড়ে ডাক্তার। এই বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন চিকিৎসা বন্ধ করতে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেন। কিন্তু সিভিল সার্জনের নির্দেশ উপেক্ষা করে চিকিৎসা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন সুমন কুমার বালা নামের এক প্যারামেডিক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,কোটচাঁদপুরে প্রাথমিক চক্ষু নিরাময় কেন্দ্র ও চক্ষু চিকিৎসাকেন্দ্র নামে দুটি প্রাইভেট চক্ষু সেবা কেন্দ্র পরিচালনা করছে দুই ব্যক্তি। তাদের মধ্যে মনিরুজ্জামানের কোন একাডেমিক সার্টিফিকেট না থাকলেও তিনি খুলনার শিরোমনি চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসকের সহকারী হিসাবে কাজের অভিজ্ঞতায় গত ১০ বছর ধরে নিজেই চক্ষু চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি মেইন বাস স্ট্যাণ্ড থেকে পোস্ট অফিস অভিমুখে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন।

অন্যদিকে সুমন কুমার বালা নিজেকে চিকিৎসক হিসাবে পেসক্রিপশন করে রোগী দেখছেন সিভিল সার্জনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে।কোটচাঁদপুরের কলেজ বাসস্ট্যাণ্ড এলাকার সাবেক উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শুকুর আলীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে চেম্বার বানিয়েছেন তিনি। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের লিখিত নির্দেশনা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চেম্বার পরিবর্তন করে রোগী দেখে যাচ্ছেন তিনি।

এই বিষয়ে সুমন কুমার বালা জানান, এখানে লাইসেন্স কৃত একটি ফার্মেসীতে আমি সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকি।আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা রেগীদের ট্রান্সফার করে দিই।আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান,বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের পর আমাদের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়।তার পরেরদিনই আমরা তাকে রোগী দেখতে নিষেধ করে চিঠি দিয়েছি। সে যদি এই নিষেধাজ্ঞার পরেও রোগী দেখে তাহলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

(একে/এসপি/আগস্ট ২৫, ২০২১)