কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামে গড়ে উঠা চাষির হাসি কৃষি খামার ও শিশুদের বিনোদন কেন্দ্রটি বন্ধের পাঁয়তারা করছে কতিপয় সন্ত্রাসী।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, উল্লেখিত খামারের নিরাপত্তার স্বার্থে সূর্যাস্তের সাথে সাথে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধের আইনকে উপেক্ষা করে হাসামদিয়া গ্রামের কালু মিয়া, সাদ্দাম মিয়া,মাসুদ মিয়া, রাব্বি মোল্যা, কাশেম মোল্যা, নাইম মোল্যা, মিন্টু মোল্যা জোর করে প্রবেশ করে খামার বন্ধের হুমকি দেয় এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে। তারা দলবদ্ধ ভাবে খামারস্থ কৃষি যাদুঘরে প্রবেশ করে নাশকতার চেষ্টা করলে উক্ত খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর্জা শামসুজ্জামান বেগ এর ভাই মির্জা কামরুজ্জামান বেগ বাধা দিলে তাকে মারধর করে।

তার চীৎকার শুনে মীর্জা শামসুজ্জামান বেগ এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে। সোরগোল শুনে তাদের বড়ভাই বিশিষ্ট পর্বতারোহী মীর্জা জাকারিয়া বেগ সহ কয়েকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা কামরুজ্জামান বেগ এর পকেটে থাকা বিশ হাজার পাঁচশত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের মধ্য থেকে রাব্বী মোল্যা ও নাইম মোল্যাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

১৬ আগস্ট উক্ত আসামিরা পুনরায় বিকাল ৩ঃ৩০ মিনিটে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চাষির হাষি লিঃ কৃষি খামারে প্রবেশ করে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে খামার তসনস করা সহ খামার বন্ধ এবং জীবন নাশের হুমকি দেয়। মীর্জা শামসুজ্জামান বেগ এর ০১৭১২৯১৮৮৪৪ ফোন নম্বরে ০১৯২৯২৩৭১০৪ ফোন নম্বর থেকে আসামি মাসুদ মোল্যা হুমকি অব্যাহত রেখেছে।

কৃষির হাসি খামারের সত্ত্বাধিকারী মীর্জা শামসুজ্জামান বেগকে আসামিগণ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে মিমাংসার প্রস্তাব দিয়েও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মিমাংসা না করে কালক্ষেপণ করায় মীর্জা শামসুজ্জামান বেগ বাদি হয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করে। ব্যাপারটা বিজ্ঞ আদালত তদন্তের জন্যে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

(কেএফ/এসপি/আগস্ট ২৬, ২০২১)