ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সৌদিআরব  প্রবাসীর জায়গা জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ ঘটনায় বাঁধা দেয়ায় স্খানীয় জাকের হোসেনকে গুম এবং খুনের হুমকি দিচ্ছেন বলেও দাবী করেন ভুক্তভোগি পরিবার। একবছর পূর্বে উক্ত জায়গা নিয়ে অভিযুক্তরা একাধিকবার হামলা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেন প্রবাসী জামাল  উদ্দিন সে ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।  

ঘটনাটি ঘটে ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বেগমগঞ্জ উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামে।

ভুক্তভোগি খানপুর গ্রামের হাজি আবুল বাসারের পুত্র সৌদিআরব প্রবাসী জামাল উদ্দিন বলেন, একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত হাজি নুর মোহাম্মদ এর পুত্র খুরশিদ আলম(৫৫) তার পুত্র নিজাম উদ্দিন (৩৮) বাবু নগরের জাফর আহম্মেদের পুত্র ইয়াছিনসহ অজ্ঞাত কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী গত ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় শরিফপুর ইউনিয়নের খানপুর রাস্তার হাটের দক্ষিণ পাশে ১ একর জায়গার মধ্যে ১৪ ডিশিমেল জায়গা ঘটনারদিন অভিযুক্তরা জোর পূর্বক দখল করে নেয় এতে ভুক্তভোগি জহির উদ্দিনের চাচা জাকের বাঁধা দিতে গেলে তাকে গুম খুনের হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগি জহির আরো বলেন, বিগত ২ বছর আগে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে তার বাবা আবুল বাসারকে পিটিয়ে আহত করে। ঐ ঘটনায় মামলা হলেও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় তারা এসব সুযোগ নিয়ে পূনরায় আবার প্রকাশ্য দিবালোকে জায়গাজমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার চাচা জাকের হোসেন বাঁধা দিতে গেলে তাকে গৃম খুনের হুমকি দিচ্ছে তারা।

অভিযুক্ত খুরশিদ আলম বলেন, আমি আমার জায়গা দখল করছি, কেউ কাগজপত্র নিয়ে আসলে আমি জায়গা ছেড়ে দিবো।

অভিযুক্ত নিজাম উদ্দিন বলেন, জামাল আমার চাচাতো ভাই তাদের সাথে দির্ঘদিন সম্পত্তি নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ চলছে , আমি ১৩ ডিশিমেল জায়গা দখল করেছি, জামির কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে, তাদের জায়গা আমরা আলাদা করে রেখে দিয়েছি।

খানপুর গ্রামের ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন বলেন, বাসু মোল্লা এবং খুরশিদ আলমদের মধ্যে দির্ঘদিন জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ স্খানীয় কিছু বিচারক টাকার লোভে ভালো ভাবে বিচার করেনা, বাদী বিবাদীরাও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিলে মানতে চায়না। তবে খুরশিদ আলম বাপের কোন সম্পত্তি পাইনি, এদানিং শুনেছি তারা মাটিয়াল দরিয়ে কোথাই যেন ঘর করার পরিকল্পা করছে, কেউ যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে আরেকজন জায়গা দখল করাটা ঠিক না, জায়গা পেলে উভয় পক্ষ বসে সমাধান করে নিতে পারে অথবা আইনিভাবে তারা ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামন বলেন, প্রতিদিন ৩০/৪০ জন জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় আসে, তবে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/আগস্ট ২৯, ২০২১)