কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় অপহরণের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম ওরফে লিপুকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি।

ইতিমধ্যে সন্ত্রাসীরা অজ্ঞাত স্থান থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবি করেছে। তৌহিদুল ইসলামের বাবা ওয়াহিদুল ইসলাম অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া প্রধান কার্যালয়ের এজিএম।

তৌহিদুল ইসলাম লিপু ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের ছাত্র। চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষা শেষে তিনি ২২ আগষ্ট ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ায় ছুটি কাটাতে বাড়িতে আসেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ আগষ্ট দুপুরে বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তৌহিদুল।


এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর তাঁর বাবা কুষ্টিয়া মডেল থানায় (জিডি) করেন। বুধবার তৌহিদুলের ব্যবহৃত মুঠোফোন (০১৮৬৪-২৯৪৪৩৪) থেকে তাঁর বাবার মুঠোফোনে কল আসে।

এ সময় তাঁকে অপহরণের কথা জানানো হয়। এ সময় তাঁর কাছে তিন কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। গত শনিবার আবারও অপহরণকারীরা মুঠোফোনের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকার জন্য চাপ দেয়। অন্যথায় তৌহিদুলকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এরপর মডেল থানায় একটি মামলা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাপ্পী নামের একজনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়ার পর সে আত্মগোপন করেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ বাপ্পীর মা, ছোট ভাই ও ভগ্নিপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তৌহিদুলের মোটর সাইকেলটি শুক্রবার পাবনার ঈশ্বরদীর একটি চর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম জানান, তৌহিদুলকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। অবিলম্বে অপহরনকারীদের আটক করা হবে।

(কেকে/এএস/সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৪)