নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় সবচেয়ে বিলম্বিত জাতের গৌরমতি আম চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী নামে এক আমচাষী। তাঁর এই গৌরমতি জাতের আম চাষের সফলতা দেখে এলাকার অনেক চাষি এই জাতের আমের বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জেলার পত্নীতলা উপজেলার হাড়পুর মৌজায় প্রায় ৬৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে তুলেছেন একটি মিশ্র ফলের বাগান। মাল্টা, কমলা এবং পেয়ারার পাশাপাশি প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন লেট ভ্যারাইটির এই গৌরমতি জাতের আম বাগান। প্রায় সাড়ে ৬শ’ গাছের মধ্যে চলতি বছর প্রায় আড়াইশ’ গাছে আম উৎপাদিত হয়েছে। জেলায় পর্যায়ক্রমে খিরসাপাত, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, নাগফজলী, আম্রপালী, আশ্বিনা ও বারি ফোর জাতের আম শেষ হয়েছে।

যখন বাজারে কিংবা বাগানে আর কোন আম নেই, তখন গৌরমতি জাতের আম বাগান থেকে উত্তোলন শুরু করে। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই আমের মৌসুম। এ বছর তাঁর এই বাগানে একশ’ মন গৌরমতি জাতের আম উৎপাদিত হয়েছে যা ইতোমধ্যেই বাজারজাত হতে শুরু করেছে। প্রথম দিকে প্রতিমণ আম ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝখানে ৭/৮ হাজার টাকা মণ এবং সর্বশেষ বর্তমানে প্রতি মণ আম ১০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারীভাবে গড়ে প্রতিমণ আম ৯ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রিমুল্য। সেই হিসেবে এ বছর কমপক্ষে ৯ লাখ টাকার আম বিক্রি করার প্রত্যশা করছেন এই চাষী।

এই আম সুস্বাদু, সুমিষ্ট এবং মৌসুমের সর্বশেষ জাতের কারনে লাভজনক হওয়ায় এলাকার জনৈক মোশারফ হোসেন চৌধুরীসহ অনেক আমচাষী এই আম বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যে কেউ কেউ এই জাতের আমবাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।

পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে এই কৃষককে গৌরমতি জাতের আম চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে সব রকমের পরামর্শ এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, যে কেউ গৌরমতি জাতের আমের বাগান গড়ে তুললে সব রকমের সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস প্রদান করা হবে।

(বিএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১)