স্পোর্টস ডেস্ক : দুয়ারে কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী মাসের ১৭ তারিখ থেকে শুরু হবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। তার আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে পরপর দুইটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে জিম্বাবুয়ে সফরেও সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা।

যার সুবাদে অন্তত কাগজে-কলমে দুর্দান্ত প্রস্তুতি হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের। কিন্তু পরপর তিনটি সিরিজ জিতলেও সমালোচকদের তীর্যক কথার হাত থেকে বাঁচতে পারছে না টাইগাররা। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ঘরের মাঠে অত্যধিক ধীর ও নিচু উইকেট বানিয়ে সিরিজ জেতার পরিকল্পনা।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পাঁচ ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিলো ১৩১ রান। পুরো সিরিজে গড়ে ১২০ রানও হয়নি। একই অবস্থা ছিলো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও। শেষ ম্যাচটি বাদ দিলে এ সিরিজেও গড় রান ছিল ১১৫ থেকে ১২০’র ঘরে। শুধু শেষ ম্যাচটিতেই ১৬০+ রানের দেখা মিলেছে।

তাই কথা উঠেছে, ঘরের মাঠে এভাবে জিতে আসলে মিথ্যা আত্মবিশ্বাসের আশ্রয় নিচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে আরব আমিয়াত ও ওমানের স্পোর্টিং উইকেটে এসব জয় থেকে আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা কোনো কাজে লাগবে না বলে মত দিচ্ছেন অনেক বিশ্লেষক-বিশেষজ্ঞরা। তবে এসব কথায় কান দিতে নারাজ বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

রবিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ডিবিএল সিরামিকসের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাকিব। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে ক্রিকেটের ব্যাপারে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ঘরের মাঠে এভাবে জেতাটা দলের জন্য মিথ্যা আত্মবিশ্বাস তৈরি করছে কি না।

সাকিব মনে করেন, ভুল ধরলে যেকোনো কিছুতেই ধরা যায়। এর চেয়ে বরং ভালো কিছু দেখার পক্ষেই তিনি। সাকিব বলেছেন, ‘দেখুন আপনি যদি ভুল ধরতে চান, যেকোনো জিনিসেরই ভুল ধরা সম্ভব। সো ভুলটা একটু কম দেখে, ভালোর দিকে যদি তাকান, তাহলে অনেক ভালো কিছু দেখতে পাবেন। আপনার দেখার দৃষ্টিটা আসলে কেমন সেটা বুঝতে হবে।’

পরপর জেতা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজেই সমান তালে পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ দলের জুনিয়র ক্রিকেটাররা। তাদের পারফরম্যান্সের বিষয়ে মূল্যায়ন জানতে চাওয়া হলে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় সব ক্রিকেটার কম বেশি পারফরম্যান্স করছে এবং একটা টিম হিসেবে খেলতে পারছি। এটাই জেতার বড় কারণ।’

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১)