সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : পাটকে বলা হয় সোনালী আশ, আর এ পাট বাংলাদেশে রয়েছে প্রচুর চাহিদা, দীর্ঘ দিন ধরে এ দেশে পাটের চাহিদা থাকলেও পাট চাষে অনাগ্রহ বাড়ে চাষীদের, ফলনে খরচ বেশী বিক্রিতে দাম কম হওয়ার কারনে অনেক চাষীরা পাট চাষ করতে অনাগ্রী ছিল বলে একধিক চাষিরা জানান।

এক সময় পাট চাষ করে পানির দামে বিক্রি করতে হতো চাষীদের । বর্তমানে পাটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশে। বিভিন্ন ভাবে পাটের প্রকৃয়াজাত করে জিনিস পত্র তৈরী করে পরিবেশকে করে তুলেছে দুষন মুক্ত। এবার গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা পাট চাষের ব্যাপক সাফল্যে পেয়েছে কৃষকরা। তাই কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। মহা আনন্দে পাট কাটা থেকে শুরু করে পাট ভিজানো ও শুকিয়ে ঘরে তুলছে। এ বার পাটের দাম ও গত বছরের তুলনায় ভাল। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে প্রতি মন পাট ৩৬ শত টাকা থেকে ৩৯ শত টাকা দরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশী ও দেও পাটের চাহিদা বেশী, দাম ভাল পাচ্ছে কৃষকরা। এলাকার পাইকার ব্যবসায়ীরা এলাকার ঘড় ভাড়া নিয়ে পাট গুদাম জাত করছে।

উপজেলার, কাপাসিয়া, রানীগঞ্জ, তারাগঞ্জ, রায়েদ, সিংহশ্রী, টোক, আড়াল, ঘাগটিয়া বাজারে গুলোতে প্রচুর পরিমান পাট কেনাবেচা হয়ে থাকে। ওই সব বাজার থেকে পাইকার পাট কিনে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে থাকেন।

আড়াল বাজারের পাট চাষী কাজল মিয়া, সহিউদ্দিন ও জাকির হোসেন জানান, ভাল ফলণ হওয়ায় আমরা খুশী দাম ভাল পেয়েছে বলে এ প্রতিনিধিকে জানান। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে এবার পাট চাষের সঠিক হিসাব না থাকলে ও নাম না প্রকাশের শর্তে এক কর্মকতা বলেন, সরকারী ভাবে পাট চাষের উপর কর্মকতদের নজদারী থাকলে এলাকায় আরো অনেক বেশী কৃষক পাট চাষে আগ্রহী হতো।

(এসকেডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১)