আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : প্রতিবছর বরিশাল বিভাগে ২৫ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশী পেয়ারা উৎপাদন হলেও এর একটি অংশ সংরক্ষণের অভাবে নস্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ পেয়ারা দিয়ে অতিসহজেই জ্যাম জৈলি তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে।

যা এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় পুষ্টি ঘাটতি মোকাবেলায় কেমিক্যালমুক্ত ন্যাচারাল প্রোডাক্ট হিসেবে বিরাট পরিবর্তন আনতে পারে। এরমাধ্যমে কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনসহ কেমিক্যালমুক্ত নিরাপদ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র পেয়ারা দিয়ে জ্যাম জেলী ও আমড়া দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরী বিষয়ক দুই দিনের প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে উল্লেখিত কথাগুলো বলেছেন, ‘এগ্রিকালচার প্রোডাক্টস প্রসেসিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের পিআই ড. মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন মোল্লা।

হাতে কলমে এ ব্যতিক্রমধর্মী প্রশিক্ষণে বরিশাল, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর অঞ্চলের ৬০ জন পেয়ারা ও আমড়া চাষী এবং কৃষাণীরা অংশগ্রহণ করেন। সোমবার সকাল থেকে দিনভর পিরোজপুরের নেছারবাদ উপজেলার আটঘর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট গাজীপুর আয়োজিত প্রশিক্ষণে ৩০ জন পেয়ারা ও আমরা চাষী অংশগ্রহণ করেন।

এরআগে রবিবার উদ্বোধনী দিনে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় রহমতপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধণ করেন গাজীপুরের বিএআরআই পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম।

এশিয়ান ফুড এ্যান্ড এগ্রিকালচার ইনিশিয়াটিভ, এএফএসিআই, আরডিএ, কোরিয়ার অর্থায়নে পোষ্টহারভেষ্ট টেকনোলজি বিভাগ, বিএআরআই গাজীপুরেরর দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরিশালের রহমতপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফিউদ্দিন ও পোস্ট হারভেস্ট বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাফিজুল হক। প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন কৃষি পন্য উদ্যোক্তা ড. তালুকদার হুমায়ুন।

বরিশাল বিজনেস ইউইমেন ফোরামের সভাপতি ড. বনলতা মুরশিদা বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ কৃষি ভিত্তিক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরী করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। বরিশাল চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলের, এ প্রশিক্ষণ নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়াতে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ অঞ্চলের প্রধান অর্থনৈতিক পণ্য পেয়ারা ও আমড়া দিয়ে উৎপাদিত পন্য তৈরী হলে এই দুই ফসলের ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে।

(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১)