স্টাফ রিপোর্টার : বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক কালের কণ্ঠে বিনা বেতনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটির নামে প্রতারণার অবসান দাবি করেছেন ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী ও সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেছেন, বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ছুটির কোনো বিধান দেশের কোনো আইনে নেই। ফলে সাড়ে ১৫ মাস ধরে বিনা বেতনে ছুটিতে রাখা কর্মীদের ছুটিকালীন বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করে তাদের কাজে যোগদানের সুযোগ অথবা আইনানুগভাবে চাকরির অবসান ঘটাতে হবে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষ এ দাবি না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিক নেতারা এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

কালের কণ্ঠ’র অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক আজাদুর রহমান চন্দনের নেতৃত্বে ওই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের-ডিইউজে'র সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ডিইউজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান খান বাবু এবং ভুক্তভোগী কর্মীদের মধ্যে মুকুল মল্লিক, আহসানুল হক টুটুল ও দীলিপ কুমার সাহা।

কালের কণ্ঠ’র অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক আজাদুর রহমান চন্দন, বিশেষ প্রতিনিধি আশরাফ-উল-আলমসহ ৩৪ জন সাংবাদিক ও কর্মীকে গত বছর ১০ জুন মহামারিজনিত ‘লকডাউনের’ মধ্যে এক যোগে বিনা বেতনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি দেওয়া হয়। এত দিনেও কাউকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া কাছাকাছি সময়ে উলেখযোগ্য সংখ্যক সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মীকে পদত্যাগ করানো কিংবা চাকরিচ্যুত করা হয়। বিনা বেতনে ছুটিতে রাখা কয়েকজনকে বিভিন্ন সময়ে পাওনা পরিশোধ করার প্রলোভন দেখিয়ে পদত্যাগ করানো হলেও দীর্ঘদিন কাউকে কোনো পাওনা দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় কালের কণ্ঠ’র চাকরিচ্যুত, পদত্যাগকারী ও বিনা বেতনে অনির্দিষ্টকাল ছুটিতে রাখা সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় পাওনা আদায় এবং বিনাবেতনে বাধ্যতামূলকভাবে অনির্দিষ্টকালের ছুটি বাতিল করার দাবিতে গত ২৮ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন বিষয়টি সুরাহা করার জন্য কর্তৃপক্ষ আলোচনায় ডাকলে কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু চাকরিচ্যুত ও পদত্যাগকারী কর্মীদের পাওনা ছয় কিস্তিতে পরিশোধ করার লক্ষ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর চেক হস্তান্তর করলেও বিনা বেতনে ছুটির বিষয়টি ফয়সালা করতে গড়িমসি করছে কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ। কখনো বলে পরে সুরাহা করা হবে, আবার কখনো বলে গত বছর যে তারিখে ছুটি দেওয়া হয়েছে সে দিন থেকে পদত্যাগ গণ্য করে পাওনা নিতে।

(পিএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১)