চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে ডকইয়ার্ডে রেললাইনে দেখা মিলবে অনেকগুলো বগি। বগিগুলোর মধ্যেই একটি লাইনে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম দুইটি শাটল ট্রেনের ১৮টি বগি। বগিগুলোকে আপাতত ডকইয়ার্ডেই থাকতে হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত পেলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে গড়াবে শাটল ট্রেনের চাকা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ডকইয়ার্ডে থাকলেও এ সময়ে বগিগুলোতে আনা হয়েছে পরিবর্তন। এতোদিনের জমে থাকা ধুলোবালি ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে নতুন রঙ করা হয়েছে।

গত বছরের মার্চে করোনার প্রকোপ বাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বন্ধ হয় শাটল চলাচলও। তবে দুই ধাপে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হলেও শাটল চলাচল বন্ধই রয়েছে।

যাতায়াতের অন্যতম এ মাধ্যমটি বন্ধ থাকায় শহরে থাকা শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ক্যাম্পাস থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করা এসব শিক্ষার্থীদের কাছে যথাসময়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছানো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সব শিক্ষার্থীর অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া সাপেক্ষে আগামী ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলে চলবে শাটল ট্রেনও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেরাব হাসান বলেন, সেই কবে শাটল ট্রেনে চড়ে শহরে গেছি! ক্যাম্পাসে ফিরতে শাটল মিস করার স্মৃতি এখন স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে। দ্রুত শাটল চলুক, সেটাই প্রত্যাশা।

ডকইয়ার্ডের সিনিয়র সাব-অ্যাসিসস্ট্যান্ট মো. আকরার হোসাইন জানান, স্টেশনে রাখলে বগিগুলো নোংরা হয়ে যায়। এখানে আনার পর সবগুলো বগি রঙ করা হয়েছে। চলার জন্য এগুলো সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১)