বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোংলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারি ও আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার স্কুল পরিদর্শন করে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশনা দেয়ার পর দুপুরে মোংলা উপজেলা হাসপাতালে তাদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সেই সাথে স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্কুল চলাকালিন সময়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা উপজেলা প্রশাসন।

গত মঙ্গলবার মোংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পুলিন মন্ডল ও তার স্ত্রী মোংলা উপজেলা হাসপাতারের নার্স সুচন্দা মন্ডলের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ওই শিক্ষক স্কুলে আসায় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর থেকে করোনা আক্রান্ত শিক্ষক ও তার স্ত্রী হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, কয়েকদিন ধরে মোংলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পুলিন মন্ডলের স্ত্রী মোংলা উপজেলা হাসপাতালের নার্স সুচন্দার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। তিনি গত মঙ্গলবার উপজেলা হাসপাতালে যেয়ে নমুনা দিয়ে র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করান। এতে তার করোনা শনাক্ত হয়। তিনি স্বামীকে ফোন করে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতে বললে তিনি বাড়ি ফিরে নমুনা পরীক্ষা করালে তারও করোনা পজেটিভ হয়। এরপর থেকে তারা হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। স্কুল পরিদর্শন করেছি।

করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি স্কুলে আসায় সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারি ও স্কুলের আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুপুরে মোংলা উপজেলা হাসপাতালে তাদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সেই সাথে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে তাকে স্কুলে না আসতে বলা হয়েছে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্কুল চলাকালিন সময়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দেন।

বাগেরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, বাগেরহাটে গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলার ৩১৯টি স্কুল খুলে দেয়া হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষকে আমরা সব সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দিয়ে আসছি। বাগেরহাটের মোংলা বালিকা বিদ্যালয়ে এক স্কুল শিক্ষক করোনা পজেটিভ হওয়ার খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শন করে পরবর্তিতে যাতে আর কেউ আক্রান্ত না হতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের দুপুরে মোংলা উপজেলা হাসপাতালে তাদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে স্কুল শিক্ষক ও কর্মচারিদের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষার্থীদের করা হবে। স্কুল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জেলার সকল স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কঠোর হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১)