এম আর সুমন, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে যুবলীগ নেতা মনু মিয়া হত্যা মামলার আসামি মঞ্জুর হোসেন সুমনের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। 

শনিবার (২ অক্টোবর) রাতে জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্তির খবরে উপজেলা শহরের প্রধান সড়কে এ মিছিল করা হয়। সুমন উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক কাজী আনিসের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং ওই সময় আনিসকে কোটি টাকা দিয়ে কমিটি আনার অভিযোগ আছে তাহার বিরুদ্ধে ।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শাকিল চৌধুরী, ইউসুফ আজমসহ শতাধিক নেতাকর্মী। এসময় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
রাতে মঞ্জুর হোসেন সুমন নিজেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি কয়েকটি ছবি ও ভিডিও আপলোড করে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের কথা জানান দেয়। এতে অন্য যুবলীগ নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ে।

সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৩ মার্চ যুবলীগ নেতা মনু মিয়াকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরদিন মনুর ভাগিনা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। ১৫ মার্চ ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনু মারা যান। মনু চর আবাবিল ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা সুমনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। বর্তমানে আসামিরা জামিনে রয়েছে।

এ ঘটনায় সাবেক আহ্বায়ক মঞ্জুর হোসেন সুমন বলেন, গঠনতন্ত্র না মেনে আমাদের কমিটি ভেঙ্গেছে এই জেলা কমিটি। তাই জেলা কমিটি বিলুপ্তি হওয়াল খবর পেয়ে আনন্দিত হয়ে সাবেক নেতাকর্মীরা এ মিছিল করেন।

অন্যদিকে সাবেক আরেক কমিটির আহ্বায়ক মামুন বিন জাকারিয়া দাবি করেন, যুবলীগ নেতা মনু মিয়া হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় সুমনের পদ বাতিল হয়েছে। যুবলীগ করেতো যুবলীগের নেতাকর্মীদে হত্যা করা যায় না। আসামী হয়ে এ ভাবে যুবলীগ দাবি করেন শহরে মিছিল করায় বাদী পক্ষের লোকজন শষ্কিত।

প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা ও দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গঠনতন্ত্রের ২৩ ধারা মোতাবেক লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। দলটির দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান।

(এস/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০২১)