ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক বলেছেন, ‘একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শারীরিক ভাবে উপস্থিত না থাকলেও মুক্তিযোদ্ধারা প্রতি মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুসরণ করেছেন। এটাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের অন্যতম গুণাবলী। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে মুক্তির সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন, সেই সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর সেই মুক্তির সংগ্রাম ছিল ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ নির্মাণ।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো: হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আসাদুজ্জামান নূর বলেন, যে কলেজ মাঠে আমরা আজকের এই অনুষ্ঠান করছি এই কলেজটি একজন স্বাধীনতাবিরোধীর নামে রয়েছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। কলেজটির নামকরণ পরিবর্তনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ঠ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নিকট দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, সাবেক সংসদ সদস্য উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের বীর সেনানী সামসুদ্দোহা, সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মুহম্মদ জোনাব আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক জাসদ নেতা জয়নাল আবেদীন, নীলফামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন নাহার, নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক নীলফামারী সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন ছাড়াও এ সময় তিনি সৈয়দপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সেরও উদ্বোধন করেন।

(ওআরকে/এসপি/অক্টোবর ০৫, ২০২১)