ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দির্ঘদিন ভাড়া না দিয়ে উল্টো জাল দলিল করে সে দোকান ঘর জবরদখলের চেষ্টা করে ভাড়াটিয়া, মালিকপক্ষ প্রতিবাদ করলে মালিক পক্ষকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আহত হন ৩ জন। আহতরা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন। 

আহতরা হলেন, চরজব্বার ইউনিয়নের উত্তর বাগ্যা গ্রামের মৃত শাহ আলমের পুত্র আব্দুর রহমান জমিদার(৪২), আহম্মদ মাঝি(৫৫), জাহাঙ্গীর আলম (৪৭)। ঘটনাটি ঘটে ২ অক্টোবর সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বার ইউনিয়নের সমিতির বাজারে।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান জমিদার বলেন, "আমার শ্বশুর বুলু নেতা ২০০২ সালে তার বোন আড়জান বেগম এবং বোন জামাই ধনু মিয়ার কাছ থেকে ২ একর জায়গা ক্রয় করেন। জমি ক্রয় করে বুলু নেতা তার নিজ নামে এবং তার স্ত্রী নসুর নাহার ওরফে তাজনাহার বেগম, মেয়ে আমেনা বেগম নামে ৩ টি আলাদা আলাদা দলীল করেন। এদিকে জমি রেজিঃ দেয়ার দুই বছর পর ২০০৪ সালে ধনু মিয়া মারা যান, সে থেকে দির্ঘদিন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। এলাকার কিছু প্রভাবশালী এবং কুচক্রী মহলের ইন্ধনে হঠাৎ করে আড়জান বেগম এবং ধনু মিয়ার সন্তান মোঃ হোসেন, শাহীন বাপ্পী, ফেরদাউসি বেগম জমি ক্রেতা নুর নাহার ওরফে তাজনাহারকে কিছু টাকা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে নয়তো জমি বিক্রি সঠিক নয় বলে মামলা করবে মর্মে হুমকি দেয়, পরে নুর নাহার বেগম নিউপায় হয়ে জেলা জজকোর্ট একজন আইনজিবির মাধ্যমে সামাজিক শালিসের মাধ্যে আড়জান বেগম এবং তার ছেলে সন্তানরা নুর নাহারের কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নেয় এবং একটি ঘোষনাপত্র দেয়। কিন্তু আড়জান বেগমের আরেক পুত্র কবির উক্ত সময়ে নানা থাকায় পূনরায় সে কুটকৌশল করে নুর নাহার বেগমকে টাকার জন্য হুমকি প্রদান করে নুর হনাহার ওরফে তাজ নাহার বেগম তাকেও কিছু টাকা দেয় এবং কবির আর কখনো জমির দাবী করবেনা মর্মে একটি ঘোষনাপত্র দেয় যা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়।

দীর্ঘ তিন বছর ধরে হেলাল আব্দুর রহমান জমিদারকে ভাড়া না দেয়ায় গত শনিবার ভাড়া চাইলে গেলে অভিযুক্ত উত্তর বাগ্যা গ্রামের মুত নুরুল হকের পুত্র হেলাল উদ্দিন, বেলাল হোসেন প্রকাশ বিকন, মাসুদ ও একই গ্রামের আবু তাহরের এর পুত্র আবু ছায়েদ উপরোক্তদের ওপর হামলা করে এতে তারা ৩ জন আহত হয়। এ ব্যাপারে আহমদ মাঝি বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা করেন, মামলা নং ৫৪০/ ৪-১০-২১।
অভিযুক্ত হেলাল বলেন, আমি ধনু মিয়ার ছেলে (ওয়ারিশ) কবির এর কাছ থেকে ২০১৭ সালে কিনেছি। পরে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

স্থানীরা জানান, এই যায়গার খরিত সূত্রে মালিক বুলু নেতা পরবর্তীতে আব্দুর রহমান জমিদার সেটা কিনে নেন, হেলাল ভাড়াটিয়া ছিলো কিন্তু সে এখন কিভাবে মালিক দাবী করে তা আমরা জানিনা।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, বিষয়টি আমি শুনিনি, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/অক্টোবর ০৫, ২০২১)