ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের জুয়েলারি সপ মহন্ত জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগকারীরা হলেন ঠাকুরগাঁও স্বর্ণ ব্যাবসায়ী সমিতির সদস্যরা। যদিও তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

তবুও তারা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির নির্ধারিত মূল্যের চাইতে মহন্ত জুয়েলার্স অনেক কমে বিক্রি করছেন স্বর্ণ।

অভিযোগকারীরা বলেন, যেখানে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১৯৬৬ টাকা। সেখানে মহন্ত জুয়েলার্স ২২ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি করছেন মাত্র ৬৪ হাজার টাকায়। এটা কাস্টমারদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ এই দামে তারা কখনো ভালো সোনা দিতে পারবেন না। তাহলে তারা সোনার বদলে দিচ্ছেনটা কি? এই প্রশ্ন রাখেন অভিযোগকারী স্বর্ণ ব্যাবসায়ীরা। এই অসৎ উপায়ে ব্যাবসার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বাকি সব জুয়েলারি ব্যাবসায়ীরাও বলে জানান তারা।

সরেজমিনে দুই দিন গিয়ে মহন্ত জুয়েলার্সের সত্ত্বাধিকারী মন্টু কুমার মহন্তকে পাওয়া না গেলেও তার কর্মচারী জীতেন্দ্রনাথকে পাওয়া যায়। তাদের দেওয়া দোকানের একটা রিসিটে দেখা যায় 22k লিখা। সেখানে রয়েছে এক বিরাট ফাঁক। 22k এটি কেডিয়াম নাকি সনাতন সোনা সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি সে। তবে সে অকপটে স্বীকার করে কম দামে সোনা বিক্রি করছেন তারা। এর কারণ হিসেবে বলেন, প্রতিযোগিতার বাজারে কম দামে সোনা বিক্রি না করলে কাস্টমাররা অন্যখান থেকে সোনার জিনিস কেনে।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জুয়েলারি সমিতির সভাপতি খোকন রায় বলেন,আমি আগেই শুনেছি তারা কম দামে সোনার জিনিস বিক্রি করছে। এতে কাস্টমার প্রতারিত হবার একটা সুযোগ থাকে।আমরা এই নিয়ে কয়েকবার বসেছিলাম। কিন্তু সোনা যাচাইয়ের ম্যাশিন না থাকায় আমরা কিছু করতে পারছিনা।সোনা যাচাইয়ের ম্যাশিন আসলে আমরা সঠিকটা জানতে পারবো।

সমিতির সদস্যরা মনে করেন সঠিক দামে সোনার জিনিস বিক্রি করলে কাস্টমার যেমন প্রতারিত হবেনা তেমনি অন্য ব্যাবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা।

(এফআর/এসপি/অক্টোবর ০৮, ২০২১)