শেখ সাদ বীন শরীফ, নড়াইল : বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানকে দীর্ঘ দুই দশক সেবাযত্ন ও ভালোবাসায় আগলে রেখেছিলেন তার পালিত কন্যা নীহার বালা সাহা। তখন খুব একটা সংকট না থাকলেও শিল্পী প্রয়াত হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। টানাটানি করে এতদিন সংসার চললেও কয়েক বছর ধরে তার দৈন্যদশা চলছে। অশীতিপর নীহার বালা বছর আটেক হলো চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন। অর্থাভাবে ছানি অপারেশন করতে না পারায় এ দশা হয়েছে তার। সঙ্গে রয়েছে বার্ধক্যজনিত আরও নানা সমস্যা। শারীরিক অসুস্থতা ও অন্ধত্বের কারণে চলাফেরা করতে পারেন না। তাই বিছানায় বা ঘরের এক কোণে পড়ে থাকেন সারাক্ষণ।

জানা গেছে, নীহার বালা সরকারি যে ভাতা পান তার চেয়ে বেশি টাকা খরচ হয় ওষুধ কিনতেই। যে কারণে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাকে।

নীহার বালার নাতি সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার অফিস সহায়ক নয়ন সাহা বলেন, দিদা সরকার থেকে ভাতা পান পাঁচ হাজার টাকা। আর আমি এখান থেকে পাই চার হাজার টাকা। এ দিয়েই স্ত্রী-পুত্র ও দিদাকে নিয়ে সংসার চালাতে হয়। প্রতি মাসে দিদার ওষুধের পেছনে খরচ হয় সাড়ে ছয় হাজার টাকার মতো।

নীহার বালা বলেন, সুলতানের শিশুস্বর্গ বেঁচে থাকুক। সুলতানের স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন হোক, এটাই চাই। আমার জীবনের শেষ দাবি, আমি যে বাড়িতে বসবাস করছি সেটি আমার নামে লিখে দেওয়া হোক।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, তার অসুস্থতার বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকীতে নীহার বালার চিকিৎসাসহ অন্যান্য ব্যাপারে কী করা যায় সেটা নিয়ে কথা বলব।

(এস/এসপি/অক্টোবর ০৯, ২০২১)