তারেক হাবিব, হবিগঞ্জ : টাকার বিনিময়ে ভূয়া প্রত্যয়ণ বাণিজ্যের ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ও ডেমেশ্বর কমিউিনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি)’র লাইন ডাইরেক্টর কাজী হেফায়েত হোসেনের কাছে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বহু অপকর্মের হোতা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ডেমেশ্বর কমিউনিটি কিøনিকের সিএইচ সিপি আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে এলাকার চুরি-ছিনতাই ও লুটপাটের সাথে জড়িত থেকে নানা প্রকার অবৈধ কার্যকালাপ চালিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে জিআর ৪৮/২১, মিস ৪২০/২১সহ নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা বিচারাধীন আছে। তবে একাধিক মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী হয়েও কমিউনিটি ক্লিনিকেরমত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবার দায়িত্বে কিভাবে বহাল তবিয়তে থাকার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে সচেতন মহলকে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, আব্দুর রশিদের নানা অপকর্মে তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগীতা করে থাকেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। বিনিময়ে সময়ে-অসময়ে মোটা অঙ্কের উৎকোচ পেয়ে থাকেন তিনি। মাঝে মাঝে বিভিন্ন মামলায় ফেসেঁ গেলে অন্যত্র কর্তব্যরত থাকার তথ্য দিয়ে প্রত্যয়ণ করে মামলা থেকে বাচতে সহযোগীতা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। এর আগে দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা দেলোয়ার ও তার সহযোগী আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে দৈনিক বাংলা ৭১’এ সংবাদ প্রকাশ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে কর্তৃপক্ষ।

প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিত্বে গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি)’র লাইন ডাইরেক্টর কাজী হেফায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে বলা হয় পরবর্তী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করতে। এদিকে, অভিযোগকারী ভুক্তভোগী জানান, ন্যায় বিচারের আশায় কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি আবেদন করেছেন। দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করলে তিনি বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতের দারস্থ হবেন।

(টিএইচ/এসপি/অক্টোবর ০৯, ২০২১)