টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল মির্জাপুরের তাফীজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে পড়তে আসায় শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদ বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার বাসিন্দা। গত সোমবার এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছেন।

আহত শিক্ষার্থী সাবির মাহমুদ (১২) উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ভড়পাড়া গ্রামের শামীম আল মামুনের ছেলে। আহত শিক্ষার্থী সাবিরকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থী সাবির জানায়, ঘটনার দিন দুইটার দিকে বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্য বের হয়। পথিমধ্যে সোহাগপাড়া বাজারে ভ্যানের সাথে লেগে তার পরনের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। পরে ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে তিনটার সময় মাদ্রাসায় পৌঁছলে তার সহপাঠীরা হাসাহাসি শুরু করে। হাসাহাসির কারণে অভিযুক্ত শিক্ষক সাবিরের অন্য সহপাঠীদের কিছু না বলে সাবিরকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।

সাবিরের বাবা শামীম আল মামুন বলেন, সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আমি ছেলেকে বেত্রাঘাতের বিষয়টি জানতে পারি। ছেলের শরীরে অসংখ্য বেত্রাঘাতের চিহৃ ফুটে উঠেছে। রাতেই ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসার পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানকে অবহিত করি। মাদ্রাসার পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশে মির্জাপুর থানায় মৌলিক ভাবে জানাই।

পরবর্তীতে মঙ্গলবার সকালে পরিদর্শক (তদন্ত) মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষকদের থানায় ডেকে আনেন। সেখানে সকলের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত হাফেজ আব্দুল মাজেদকে মাদ্রাসা থেকে অব্যহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তাফীজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় সবাই বসে তাকে মাদ্রাসা হতে অব্যহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

(এসএএম/এএস/অক্টোবর ১৩, ২০২১)