নিউজ ডেস্ক : বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ ও ‘কঠিন চীবর দান’ উৎসবে সবার জন্য সুখ-শান্তি আর সাফল্য কামনা করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে বয়ে চলা এ সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য। সম্প্রীতির এই ধারা অব্যাহত রেখে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে আমি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানাই।

বুধবার (২০ অক্টোবর) ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ ও ‘কঠিন চীবর দান’ উৎসব উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। এ উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় বিশ্ব গঠনে আজীবন সাম্য, মৈত্রী, মানবতা ও শান্তির অমিয় বাণী প্রচার করে গেছেন। তার আদর্শ ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল ও মানবিকতায় পরিপূর্ণ। বুদ্ধের অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী বিপুল সমাদৃত। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, ‘প্রবারণা পূর্ণিমা’ উপলক্ষে ‘কঠিন চীবর দান’ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। কঠিন চীবর দানকে বলা হয় দানশ্রেষ্ঠ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে এ দানোৎসব সবার মধ্যে গড়ে তোলে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি। ত্যাগ, সংযম, নিয়মানুবর্তিতা আর কঠোর ধ্যান সাধনার মাধ্যমে উদযাপিত ‘কঠিন চীবর দান’ ভক্তদের বৌদ্ধের প্রকৃত অনুসারী হিসেবে গড়ে তোলে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য। এ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধবিহার এর উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করছে। আমি আশা করি, যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় ‘কঠিন চীবর দান’ উদযাপনের মাধ্যমে বৌদ্ধ সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট মহামারির ফলে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশে এর সংক্রমণ কমে আসলেও সংক্রমণের সম্ভাব্য পরবর্তী ঢেউ প্রতিরোধ করতে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আবশ্যক। আমি আশা করি, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সবাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবে শামিল হবেন।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২০, ২০২১)