স্টাফ রিপোর্টার : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, আমাদের প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন বিশ্ব শান্তি, মানবতা ও কল্যাণের পথ প্রদর্শক। তিনি বঞ্চিত, নিপীড়িত ও লাঞ্ছিত মানবতার আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আজকের অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি খুঁজে পেতে রসুলুল্লাহ (সা.) এর দেখানো আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা তাকে সারাবিশ্বের রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৩ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহানবী (সা.) এর প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শ প্রচারের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে প্রধান অতিথি হিসেবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করে বিশ্বনবী (সা.) এর আদর্শ প্রচার ও দীনি খেদমতের এক নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের অর্থায়নে জাতীয় পর্যায়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়ে আসছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সচিবের দায়িত্বরত মু. আ. আউয়াল হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন ও ড. মাওলানা মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার সালেহী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান। এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে পক্ষকালব্যাপী ইসলামি বইমেলার উদ্বোধন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি কমপ্লেক্সে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৩ হিজরি উদযাপন, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ইসলামি বইমেলার আয়োজন, কিরাত মাহফিল, হামদ-নাত ইত্যাদি।

এছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ও সাতটি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২০, ২০২১)