অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার মাহবুবা প্রইভেট হাসপাতালে জরায়ুর টিউমার অপরেশন করতে এসে সাহিদা আক্তার লিপি (৪০) নামে এক গৃহবধূ তার মূত্রথলি হারিয়েছেন। ৫ মাস পর ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে এ নিয়ে কোটচাঁদপুরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। লিপি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের আশাদুল হকের স্ত্রী। 

লিপি জানান, তার জরায়ুতে টিউমার হওয়ার কারণে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলে গত ২৭ মে তিনি কোটচাঁদপুর শহরের লিটনের মালিকানাধীন মাহবুবা প্রইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন বিকালে ডাঃ রাকিবুল ইসলাম ও ডাঃ আনিছুর রহমান তার অপারেশন করেন। অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তাররা তার জরায়ুর বদলে মূত্রথলি কেটে ফেলেন। অপারেশন করার ১০ দিন ক্লিনিকে অবস্থান করার পরও তিনি সুস্থ না হলে গত ২৫ জুন চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (অবস এন্ড গাইনী) ডা: আকলিমা খাতুনকে দেখান। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান লিপির মূত্রথলি কেটে ফেলা হয়েছে। গত ১৪ আগষ্ট তিনি ফরিদপুরে ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইউরোলজী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা: জে.সি সাহা’র কাছে যান। সেখানেও পরীক্ষায় মূত্রথলি কাটা ধরা পড়ে। এ অবস্থায় ডাক্তার ডা: জে.সি সাহা পুনরায় অপারেশনের পরামর্শ দেন। কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় লিপি চিকিৎসা করাতে পরে না। বর্তমান লিপির স্বামী ধার দেনা করে টাকা জোগাড় করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। সেখানে চিকিৎসক ডা: শোভা বর্ধনের অধীনে লিপি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে ডাঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি অপারেশন করিনি। অপারেশনের কাজে ডা: আনিছুর রহমানকে আমি কেবল সহায়তা করেছি।

ডাঃ আনিছুর রহমান লিপির অপারেশন করার কথা স্বীকার করে বলেন, এ জাতীয় অপারেশন করতে গেলে ভুলত্রুটি হতেই পারে। রোগী আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি বিনা খরচে আবার অপারেশন করে দেব।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমকর্তা ডা: আব্দুর রশিদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ রোগী অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

(একে/এসপি/অক্টোবর ২১, ২০২১)