তারেক হাবিব, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ১০নং লস্করপুর ইউনিয়নের ডেমেশ্বর কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে এসে সিএইচসিপির হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন রুকন মিয়া (৩২) নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই এলাকার মৃত ছুরত আলীর পুত্র। গত ১৩ অক্টোবর বুধবার এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনার পরও কান্ত হননি সিএইচসিপি আব্দুর রশিদ বিষয়টি ধামা-চাপা দিয়ে রাখতে প্রতিনিয়তই রিপন ও তার পরিবারের লোকদের দিয়ে যাচ্ছেন হুমকি-ধমকি।

ভুক্তভোগী রিপন মিয়া জানান, তার বাড়ির পাশে কমিউনিটি ক্লিনিক থাকায় ঘটনারদিন জ্বর ও মাথা ব্যাথার কিছু ঔষধ আনতে ওই ক্লিনিকে যান তিনি। ঔষধ চাওয়ার জেরে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে কিল-ঘুষি দিয়ে লোহার জিআই পাইপ নিয়ে তাকে মারতে আসেন আব্দুর রশিদ। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় সিএইচসিপি আব্দুর রশিদকে চাকরি থেকে বহিষ্কারসহ সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আরও কয়েকজন।

এর আগে আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে চুরি ও লুটপাট এবং সন্ত্রাসী কার্যকালাপের অভিযোগে হবিগঞ্জ সদর থানা ও আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। প্রতিনিয়তই সন্ত্রাসী কার্যকালাপে জড়িত থাকায় কর্মস্থলে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সুসজ্জিত থাকে। এ নিয়ে দৈনিক আমার হবিগঞ্জ সংবাদ প্রকাশ হলে তার বিরুদ্ধে তদন্তে শুরু করেন কর্তৃপক্ষ।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, আব্দুর রশিদের নানা অপকর্মে তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগীতা করে থাকেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। বিনিময়ে সময়ে-অসময়ে মোটা অঙ্কের উৎকোচ পেয়ে থাকেন তিনি। মাঝে মাঝে বিভিন্ন মামলায় ফেসেঁ গেলে অন্যত্র কর্তব্যরত থাকার তথ্য দিয়ে প্রত্যয়ণ করে মামলা থেকে বাচতে সহযোগিতা করেন। শুধু মামলায় নয়, প্রত্যয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন পেতে সরাসরি সহযোগীতা করেন দেলোয়ার। গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি)’র লাইন ডাইরেক্টর কাজী হেফায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে বলা হয় পরবর্তী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করতে। তবে সহকর্মীদের বাচাঁতে তদন্ত কমিটি গঠনের দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও আদৌ তদন্ত সম্পন্ন হয়নি বলে জানা গেছে।

(টিএইচ/এসপি/অক্টোবর ২৩, ২০২১)