আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডে কঠোর লকডাউনের পরেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার দেশটিতে নতুন করে ১০৪ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ দ্বীপে প্রায় এক বছর পর নতুন করে কমিউনিটিতে প্রথম কেস শনাক্ত হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম শহর অকল্যান্ডেই অধিকাংশ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর আগেও অকল্যান্ডেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। সে কারণে ওই শহরে দুই মাসের বেশি সময় ধরে লকডাউন জারি রয়েছে। তবে দেশের বাকি অংশে শিথিল লকডাউন চলছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ দ্বীপের উত্তর-পূর্বের ব্লেনহেইম শহরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কিছুটা কম। করোনা মহামারি শুরুর পর যে কয়েকটি দেশ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় তার মধ্যে অন্যতম ছিল নিউজল্যান্ড। কিন্তু দেশটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হতে শুরু করে।

তবে প্রথম থেকেই করোনা পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলেই দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, যখন দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুই ডোজের আওতায় আসবেন তখনই কঠোর লকডাউন তুলে নেওয়া হবে এবং মানুষ আবারও আগের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপনের স্বাধীনতা পাবেন। শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে ৭০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৫৪। এর মধ্যে মারা গেছে ২৮ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪ হাজার ৪০৭ জন। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ হাজার ১১৯।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৩, ২০২১)