ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি : ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউপির বেরশ গ্রামে লক্ষীদেবীর বির্সজন উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার পুর্ণিমা তিথিতে ধামরাইয়ের বেরশ, মাইজাইল ও চাউনাইল গ্রামে বড় আয়োজনে ২৫ টি মন্দিরে লক্ষী পূজার এ আয়োজন করা হয়। পুজার তৃতীয় দিন শনিবার বিকেলে(২৪/১০/২০২১) এই বির্সজন উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনরা প্রতি গৃহেই ধন সম্পদের দেবী লক্ষী পূজা উৎসব পালন করে থাকে। শারদীয় উৎসবের পর পূর্ণিমা তিথিতে এই লক্ষী পুজাও ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ধামরাইয়ে।

পূজা উৎসবের তিন দিন পর শনিবার বেরশ মাঠে দিন ব্যাপী বির্সজন উপলক্ষে মেলা বসে রাতে পর্যন্ত ।

মেলায় হাজার হাজার নারী পূরুষের উপস্থিতিতে অস্বাভাবিক ভীড় ও কোলাহল মূখর হয়ে উঠে।

সন্ধ্যায় বির্সজনস্থলে ঢাক-ঢোল,কাসর ঘন্টা বাদ্যের তালে ও মহিলাদের উলুধ্বনিতে মূখরিত হয় মেলাঙ্গলন। পূজার্চনা ও আরতি নৃত্য শেষে রাতে স্থানীয় জলাশয়ে প্রতিমা বির্সন কার্য সম্পন্ন করা হয়।

সীমা সরকার মিলন বলেন পুজার এ কয় দিন বেশ আনন্দ উপভোগ করি সকলে মিলে। আজ বির্সজন মেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ এই মেলায় আসেন। উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।খুব ভালো লাগে।

মেলায় আগত সুমি সরকার বলেন গত বছর করোনার কারনে মেলা হয়নি। এবার করোনা পরিবেশ অনেকটাই ভালো তাই বড় করে উৎসব পালিত হচ্ছে। মায়ের কাছে আমরা প্রার্থনা করেছি মা যেনো সবাইকে ভালো রাখেন।

শিক্ষক নিমাই বৈরাগী বলেন ধামরাই উপজেলা ও এর আশ পাশে এতে বড়ো লক্ষী টুজার আয়োজন ধামরাইয়ের বেরশ গ্রামেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।পুজার তি ন দিন পরে বেরশ মাঠে দিন ব্যাপী বির্সজন মেলা বসে। হাজারো নারী পুরুষের উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিনত হয়।

ধামরাই ব্রেশ গ্রামের লক্ষীপুজা ও উৎসব কমিটির সভাপতি জগদিশ চন্দ্র সরকার বলেন-করোনায় গেলো বছর ব্রেশ গ্রামের এই লক্ষী পুজা উৎসব শুধু ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেই শেষ হয়েছে।এবার পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো তাই লক্ষীদেবী বির্সজন উৎসব ও মেলা জমেছে। আমরা মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি দেশ থেকে করোনা যেনো শেষ হয়ে যায়।

(ডিসিপি/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০২১)