সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) : অনলাইনে ট্রেনের টিকিট যেন যাত্রীদের এখন সোনার হরিণ। যাত্রীদের রেল স্টেশন রেখে কম্পিউটারের দোকানে দোকানে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মানুষ যখন ট্রেনের টিকিটের জন্য চারিদিকে ছুটাছুটি করছে ঠিক সেই সময় পার্বতীপুরের পলাশ চন্দ্র রায় নামে এক কম্পিউটার ব্যবসায়ী অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করে মজুদ রেখে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করায় হাজারো মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।  

গতকাল শনিবার রাতে পার্বতীপুর রেল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রেনের টিকিট, মোবাইল সীম ও অনলাইন টিকিট সংগ্রহের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থলে পলাশ চন্দ্র রায় (২৫)কে ভ্রাম্যমান আদালত ১ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন- পার্বতীপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক প্রীতম সাহা।

পার্বতীপুর রেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, শহরের কুদ্দুস সুপার মার্কেটে হৃদয় টেলিকম নামে একটি কম্পিউটার দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দোকান মালিক পলাশ চন্দ্র রায়কে টিকিটসহ হাতে-নাতে আটক করা হয়। অভিযানের সময় হৃদয় টেলিকম দোকান থেকে ঢাকা গামী ৩০টি ট্রেনের অনলাইন টিকিট ও মোবাইল ১টি সীম উদ্ধার করেন। পলাশ পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের বান্নিরঘাট গ্রামের প্রভাশ চন্দ্র রায়ের ছেলে।

পার্বতীপুর রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার শওকত আলী বলেন, টিকিট মজুদ করে রাখা এটি একটি গুরুতর অপরাধ। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সাধারণ যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি করছে।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও পার্বতীপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা বলেন, রেলওয়ের ওয়েব সাইটে ঢুকে ভুয়া ইমেইল একান্ট খুলে, একাধিক ব্যক্তির নামে এনআইডি নম্বর দিয়ে অবৈধ্যভাবে টিকিট সংগ্রহ করে। সকাল ৮টার দিকে অনলাইনে প্রবেশ করে টিকিটগুলো কেটে জমা করে রাখে। পরে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে। তিনি আরও যারা ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করবে তাদেরকে রেলওয়ে আইনের আওতায় আনা হবে।

(এস/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০২১)