মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, সুবর্ণচর, নোয়াখালী : মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নদী মাছ শিকার ২২দিন বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছে সরকার। এ সময় সরকারি সুবিধা হিসাবে প্রতিটি জেলে পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে ২০ কেজি করে চাল। ইউনিয়ন পরিষদ তালিকা তৈরি করে স্ব স্ব পরিষদে এই চাল বিতরণের আয়োজন করে।

সোমবার সকালে নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙ্গা বাজারে এই বিতরণ উদ্বোধন করেন সোনাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আব্দুস সামাদ, বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও তালিকায় নাম থাকা জেলেরা।

ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান জানান, সোনাদিয়া ইউনিয়নে ৮শত জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। ২২দিন নদীতে মাছ শিকার বন্ধ রাখায় সরকারি সুবিধা হিসাবে জেলেরা এই চাল পাচ্ছে। সোনাদিয়া ইউনিয়নে নিবন্ধীত জেলে সংখ্যা ১হাজার ৯১৭ জন । কার্ডধারী জেলে ১হাজার ৩শত জন। এর মধ্যে শুধু ৮শত লোককে চাল দেওয়া হচ্ছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস বলেন, ২৫ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার সময় কাল শেষ হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে বিতরণ কাজ মৎস্য অফিস থেকে তধারকি করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন আপত্তিকর ঘটনা ঘটে নি। এই বছর মা ইলিশ মৌসুমে মাছ শিকার বন্ধ রাখায় হাতিয়াতে ১শত ৫০ মে:টন চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। যা বিভিন্ন ইউনিয়নে জনসংখ্যা অনুপাতে বিভাজন করে দেওয়া হয়।

হাতিয়াতে একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে প্রায় ৭লাখ লোকের বসবাস। এর মধ্যে অধিকাংশ জেলে। ২০১২ সালে একটি জরীপে করা পরিবার প্রতি একজন করে নিবন্ধীত জেলে সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার ৩৮০জন। এর মদ্যে কার্ডধারী জেলে প্রায় ১২ হাজার। মা ইলিশ মৌসুমে নদীতে মাছ শিকার বন্ধ রাখায় ৭হাজার ৫শত পরিবারকে ২০কেজি করে দেওয়া হচ্ছে ভিজিএফ এর চাল।

(আইইউএস/এএস/অক্টোবর ২৫, ২০২১)